সিকিমকে অর্থ সাহায্য কালিম্পংয়ে নেই, বৈষম্য কেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন মমতার

হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিমের জন্য অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই হড়পা বানের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলা কালিম্পং ও দার্জিলিং-এর কিছু অংশ। সিকিমের জন্য অর্থ সাহায্য ঘোষণা করা হলেও এখনও বাংলার জন্য কোন সাহায্যের কথা ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। মুখ্যমন্ত্রী কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের জন্য ২৫ কোটি সাহায্যের কথা জানিয়েছেন অনীত থাপাকে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে কালিম্পংয়ে পাঠিছেন তিনি।

শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্টে সিকিমবাসীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি লিখেছেন,’হড়পাবানের ঘটনার রাত থেকে, আমি আমার পুরো প্রশাসনের সাথে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি যাতে লোকদের দুর্দশা থেকে বাঁচানো যায়। পাহাড়ে জিটিএকে ২৫ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী এবং সিনিয়র আইএএস অফিসারদের পাঠানো হয়েছে এবং দলগুলি এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা সেনা কর্তৃপক্ষ এবং সিকিম সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করেছি এবং করব। সিকিমের জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।’ কেন্দ্রের বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছে, ‘দার্জিলিং, কালিম্পং এবং উত্তরবঙ্গের আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় বৈষম্য দেখে আমি হতবাক। সেখানেও দুর্যোগের তীব্রতা এবং মৃত্যুর সংখ্যা জেনেও কেন্দ্রের এই আচারণ। আমরা ভিক্ষুক নই এবং আমরা অবশ্যই সিকিমের পক্ষে, তবে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় সহায়তা সম্পর্কিত বিষয়ে সমতা এবং বৈষম্যহীনতা চাই।’

শুক্রবারই পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য নবান্নে এসেছিলেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। তিনি দুর্যোগের পর ক্ষত-ক্ষতি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাহাড়ের অবস্থা বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তার পরই অরূপ বিশ্বাসকে কালিম্পংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সিকিমকে ৪৪.৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড (সিডিআরএফ) থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে। তিস্তার বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলার কালিম্পং জেলা। তা সত্বে কেন্দ্রের তরফে কোনও ফান্ড ঘোষণা করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনীত। মুখ্যমন্ত্রী ফোনেই জিটিকে ২৫ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

অনীত জানান, হড়পা বানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিডিওরা জেলার সব প্রান্ত ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে তিস্তার বন্যায় কালিম্পংয়ে ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে।

বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে বিমানবন্দরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি কালিম্পং যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমের ভাইবোনেদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। আমি একে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু তিনি বাংলা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না। আমরা এই ধরনের বিমাতৃসূলভ আচারণের বিরোধিতা করি। ‘