রাজভবনের কাছে তৃণমূলের ধরনামঞ্চ। সেখানে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক বক্তারা বক্তব্য রাখছেন। আর সেই সময় মাথা নীচু করে একমনে কিছু যেন পড়ছেন অভিষেক। একটা বই খোলা রয়েছে মুখের সামনে। সকলেরই কৌতুহল ঠিক কী পড়ছেন তিনি?
অনেকে আবার এই ধরনা মঞ্চে থাকা অভিষেকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিগতদিনের আন্দোলন, তাঁর অনড় মনোভাবের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। ঠিক এভাবেই একদিন সিঙ্গুরের আন্দোলন মঞ্চে দেখা যেত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। এমনকী কবিতাও লিখতেন তিনি। ছবিও আঁকতেন। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দেখা গেল একেবারে অন্য মেজাজে।
তিনি একমনে কিছু যেন পড়ছিলেন। এই ছবি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন কী পড়ছেন অভিষেক? কারণ মঞ্চের অত কাছে গিয়ে বই উলটে দেখার মতো পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের নেই।
তবে তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলা সূত্রে খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কণিকা পড়ছিলেন। তার ছবিও দেখানো হয়েছে।
এদিকে অনেকেরই মতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় মানেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ, বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি আর ইডির তলব। তবে এদিন আন্দোলন মঞ্চে একমনে রবি ঠাকুরের রচিত বই পড়ার ঘটনায় চর্চা গোটা বাংলা জুড়েই।
তবে নেটিজেনদের অনেকে আবার অভিষেকের বই পড়াকে ঘিরে তীব্র কটাক্ষও করছেন। সব মিলিয়ে রাজভবনের সামনের ধরনা মঞ্চ কার্যত নজর কেড়েছে অনেকেরই।
প্রসঙ্গত ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে দিল্লিতে ধরনায় বসেছিল তৃণমূল। কিন্তু সেখানেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল। রাজঘাট থেকে কৃষিভবন সর্বত্র বাধার মুখে পড়েছিল তৃণমূল। পুলিশ কার্যট টেনে তুলে দিয়েছিল তৃণমূলকে। শেষ পর্যন্ত কলকাতায় ফিরে রাজভবন অভিযানে নেমেছিল তৃণমূল। কিন্তু সেখানেও হোঁচট। রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। তারপর থেকেই রাজভবনের সামনে ধরনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এনিয়ে রোজই সভামঞ্চ থেকে বক্তব্য চলছে। আর সেই মঞ্চেই একমনে বই পড়লেন অভিষেক। সারা বাংলা তো বটেই সংবাদমাধ্য়মের সব ক্যামেরার ফ্লাশগান কিন্তু অভিষেকের দিকেই।