টোটোর বৈধতা নিয়ে পরিবহণ দফতরের ভাবনা কী? জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

শহরের মূল রাজপথে দেখা যায় না। তবে অলিগলিতে দেখা মেলে। আর শহরতলি বা গ্রামবাংলায় এই যানবাহনের দৌরাত্ম্য আছে। তাতে একদিকে নাজেহাল শহরবাসী। আর একদিকে গ্রামবাংলার মানুষজন। অটো নিয়ে পরিবহণ দফতরের স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু টোটোর তো নেই। এই যানের বৈধতা নিয়ে এবার রাজ্যের পরিবহণ দফতরের ঠিক কী ভাবনা সেটা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ বসিরহাট পুরসভায় টোটোর বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে। আর তা নিয়ে দায়ের হওয়া এক মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ১৪ অক্টোবর টোটো নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যেক পুরসভা এলাকায় কতগুলি টোটো চলে সেটার তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পরই টোটো চলাচলের একটা গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। জাতীয়, রাজ্য সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় টোটো চলাচল বন্ধ করতে চাইছে পরিবহণ দফতর। পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে টোটো–অটোর রুট ঠিক করতে বলা হয়েছে। পুলিশকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। বেআইনিভাবে টোটো বা ই–রিকশা বিক্রি ঠেকাতে ডিলারদের তলব করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। ভবিষ্যতে রেজিস্টেশন নম্বর ছাড়া টোটো, ই–রিকশা বিক্রি করা যাবে না।

ঠিক কী ঘটেছে বসিরহাটে?‌ বসিরহাট পুরসভা তার অন্তর্ভূক্ত এলাকায় ৫ হাজারের বেশি টোটো নিয়ন্ত্রণে আনতে সিদ্ধান্ত নেয়। আর রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৫০০ টাকা ধার্য করে। করা হয়। নতুন গাড়ি নামাতে হলে পুরনো গাড়ির নম্বর প্লেট দেখানো এবং নানা নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১৪০টি টোটো চালক। পুরসভা কেমন করে রেজিষ্ট্রেশন দিতে পারে তা নিয়ে মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়। আর এটা পরিবহণ দফতরের কাজ। এই মামলা নিয়ে এখন জট পাকিয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ উৎসবের মরশুমে আগুন দাম হবে শাক–সবজির!‌ ছ্যাঁকা লাগবে রাজ্যের মানুষজনের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই নিয়ে মামলা হয়ে যেতে বসিরহাট পুরসভার পক্ষ থেকে আইনজীবী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌বসিরহাট পুরসভা কোনও রেজিস্ট্রেশন দেয়নি। না আছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর, না আছে নাম্বার প্লেট, না চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। বেআইনিভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই তিনচাকার যান। তার জেরে বাড়ছে পথ দুর্ঘটনাও।‌ যাত্রী সুরক্ষায় এই টোটোগুলিকে চিহ্নিত করতেই পুরসভা একটি গাইডলাইন দিয়েছিল।’‌ কলকাতা হাইকোর্ট দু’‌পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে আপাতত বসিরহাট পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে কার্যকর না করার নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৫ সালে টোটো নিয়ে রাজ্যের পরিবহণ দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এবার সেটা নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।