Child kidnapping: ২দিন ধরে নিখোঁজ হাওড়ার শিশু, খুড়তুতো দাদার বিরুদ্ধে বিক্রির অভিযোগ পরিবারের

হাওড়ায় ৫ বছরের শিশুকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শিশুটির খুড়তুতো দাদার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ইতিমধ্যেই তারা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, দুদিন কেটে যাওয়ারও পরে এখনও পর্যন্ত শিশুটির খোঁজ না মেলায় চিন্তিত পরিবার। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই তাদের সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বাবা ও সন্তানদের অপহরণ, গাড়ি আটকে যেতে পালালেন তাঁরা

শিশুটির নাম রোহন মল্লিক। অভিযুক্ত যুবক হুগলির জঙ্গিপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। শুক্রবার সকালে সে রোহনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু তারপরে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর ওই যুবকের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন শিশুটির বাবা-মা। কিন্তু, কোনওভাবেই তারা যোগাযোগ করতে পারেনি। যার ফলে তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন। ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে তারা ডোমজুড় থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুর পরিবারের অসংখ্য তাকে অপহরণ করে বিক্রি করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কেরলে থাকে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাবা-মায়ের অভিযোগ, সে পরিকল্পনা করেই তাদের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। এরপর বাইরে বেরোনোর নাম করে তাদের সন্তানকে নিয়ে চলে যায়। তাদের আশঙ্কা, হয় তাকে বিক্রি করা হয়েছে নাহলে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিই বেরিয়ে আসবে জানিয়েছে পরিবারটি।

শিশুর মায়ের দাবি, তাদের সঙ্গে যুবকের পরিবারের ঝামেলা রয়েছে। সেই ক্ষোভেই যুবক এরকম কাজ করতে পারে। এখন যে কোনওভাবে ছেলেকে নিজের কাছে ফিরে পেতে চাইছেন শিশুটির মা। শিশুর বাবা মুকারিম মল্লিক জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাদের ছেলেকে পাওয়া যায়নি। তাই তারা বিকেলে থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই নিখোঁজ শিশুর পরিবার হুগলি জঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা। তবে তারা বর্তমানে ডোমজুড়ের বানিয়াড়ায় এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। পুলিশ ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি অন্যান্য আত্মীয় এবং বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। আদৌও শিশুকে অপরহণ বিক্রি করা হয়েছে নাকি আটকে রাখা হয়েছে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।