‘পরীক্ষায়’ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি শক্তি ও ‘পাওয়ার-পকেটগুলোর’ চাপ অব্যাহত রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর। সর্বশেষ সোমবার (৯ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও এর প্রভাব ছিল স্পষ্ট। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন ইস্যুতে পরাশক্তিগুলো চায় সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধান। সেক্ষেত্রে এই দফায় যদি সমাধান না আসে, তবে উভয় পক্ষকেই দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। বিশেষত, ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার সঙ্গে পুরো দক্ষিণ এশিয়া যুক্ত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্ষতি তো হবে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর না হলে সংকট আসবে। ক্ষতি হবে। মানুষের দায়িত্ব এখন এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে দেওয়া। পৃথিবীর কোনও ফ্যাসিস্ট সরকারই নিজে থেকে সরেনি। বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরে যেতে হবে।’

‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার সরাতে হলে ক্ষতি হবে, রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা ফিরে পেতে চাইলে ক্ষতি হবে। এটা কম ক্ষতি’—বলেন আমির খসরু।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা দায়িত্বশীল দল হিসেবে যেকোনও মূল্যে নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করবো। আমরা কোনও সহিংসতা করি না, করবো না। কাউকে সহিংসতা করতেও দেবো না। নির্বাচন হবে, তাতে বাধা নিতে এলে জনগণকে নিয়ে তাদের মোকাবিলা করবো। সহিংসতা যারা করার চেষ্টা করবে, তার দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।’

অতীতে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টায় সহিংসতা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও তারা নির্বাচনের আগে ও পরে সেই চেষ্টা করতে পারে। জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। রাজনৈতিকভাবে আমরা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করবো যেকোনও মূল্যে।’

সোমবার ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দেড় ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপি জানিয়েছে, তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না। দেশের নির্বাচন পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি, বরং আরও অবনতি হয়েছে। বিএনপির পর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে ক্ষমতাসীন দল সাফ জানিয়ে দিয়েছে—নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার কোনও সুযোগ নেই।

অভিজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলটি সমঝোতা বিষয়ক কোনও সফরে আসেনি। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হওয়া একজন বিশিষ্ট নাগরিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি অংশীজনদের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে দেশটির সরকারকে জানাবে। পর্যবেক্ষক আসা, না আসার বিষয়টিও এই দলের ওপর নির্ভর করছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশি  ও বিদেশি শক্তি বড় দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের সমাধান করতে আগ্রহী। তাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে বিষয়টি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে। এতে দুই দলই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমানের ভাষ্য, ‘সমঝোতা না হলে দেশের ক্ষতি হবে স্বাভাবিক। সরকারি দল ও বিরোধীরা—দুই পক্ষই সংঘর্ষে নামবে। সরকারি দল বলতে বুঝিয়েছি, সরকারি দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাষ্ট্রযন্ত্র মিলিয়ে। সামনে হয়তো বিরোধী দলগুলোর হরতাল, অবরোধ, ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি আসবে। ফলে সংঘর্ষ হতে পারে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হতে চাইলে—রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত পেতে চাইলে এই স্বল্পকালীন সংকট মোকাবিলা করতে হবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কারও কারও মূল্যায়ন এরকম—সমঝোতা না হলে উভয় দলই ক্ষতির শিকার হবে। ক্ষমতাসীন দল সাংগঠনিক ক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্র মিলিয়ে শক্তিশালী। অপরদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সমর্থন আছে বিএনপির। একইসঙ্গে দলটির রয়েছে আন্দোলনমুখী একটি বিশাল কর্মীবাহিনী। ফলে, উভয় দলের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা না হলে দুই দলই ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন:  শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, আগামী নির্বাচন একতরফা ও সহিংসতার দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এর পরিণতি ভোগ করতে হবে আমাদের।’

কারণ ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন যদি সহিংস ও একতরফা হয় তাহলে পরাশক্তিগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এরপর তারা কী ব্যবস্থা নেয় নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। এগুলো নির্ভর করছে নির্বাচনি পরিবেশ, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের ওপর। তারা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছে। তাদের বার্তা গ্রহণ করে আমাদের স্বার্থে পদক্ষেপ নিলে আমরা ভালো অবস্থানে যাবো। বহুলাংশে এটি আমাদের নিজেদের ওপর নির্ভর করছে। নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। না হলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। সহিংসতা হলে আমরা কেউ নিরাপদ থাকবো না। আশা করি রাজনীতিকদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু চৌধুরী

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের প্রস্তুতি ও তাদের অবস্থানে স্পষ্ট—বিরোধীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ। সরকারের পতন ঘটাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো—এটা অবাস্তব।’

এ বিষয়ের গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম এক নেতা সোমবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে উল্লেখ করেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের হাইপ তুলছে না কেন, সেটা স্পষ্ট না। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে এটা সত্যি। কিন্তু আন্দোলন না করলে এমনি এমনি তো সরকারের পতন হবে না। আমি তো তাদের সিরিয়াস দেখছি না। বিএনপি নেতারা কথা বলছেন খুব হিসাব করে।’ এই রাজনীতিক আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘বিএনপি ভাবছে নতুন কিছু আসার। তাদের ভাবনা জেনুইন ভাবনা। কিন্তু পটপরিবর্তন হলে বিএনপির কী লাভ’—প্রশ্ন রাখেন এই নেতা।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের আন্দোলন ব্যর্থ হয় না। কালে কালে তা স্পষ্ট হয়েছে। আন্দোলন সেভাবেই করতে হবে। ফ্যাসিস্টদের পতনের আন্দোলনে মানুষ জীবন দিয়েছে। এই আন্দোলনও সফল হবে।’

ফুরফুরে বিএনপি, ব্যবহার হবে নাকি বেনিফিটস নেবে?

সোমবার মার্কিন প্রাক-নির্বাচনি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটি ও প্রভাবশালী অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিএনপি নেতারা ফুরফুরে ও হাসিমুখে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ‘বৈঠক সফল হয়েছে’।

বৈঠকের পর বিএনপি নেতাদের ফুরফুরে থাকার বিষয়টি নিয়ে একজন প্রভাবশালী দায়িত্বশীল বলেন, ‘মিটিংয়ের পর সব নেতা ফুরফুরে ছিলেন।’

বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ফুরফুরে রয়েছেন সত্যি। কিন্তু আদতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ক্ষমতায় তুলে দেওয়ার মতো কোনও এজেন্ডা নিয়ে এই অঞ্চলে তৎপর না। এক্ষেত্রে বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করছে কিনা, এই প্রশ্নটিও রয়েছে। ফলে বিএনপি ব্যবহৃত হবে নাকি বেনিফিটস নেবে, তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেতৃত্বকে নিতে হবে।’

সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি প্রতিনিধি দলটি তাদের সরকারকে একটি প্রতিবেদন দেবে। এর বাইরে কোনও সিদ্ধান্তে তাদের কাজ নেই। তারা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করে নির্বাচনি পরিবেশ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসবে কিনা, সমঝোতা কী হবে—এসব নিয়ে ওদের এখতিয়ার নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা

আইনি যুক্তি তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে  নেতৃত্ব দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত অংশ নেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রতিনিধি দল মূলত আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, সম্ভাব্য পরিবেশ ও পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কাছে থেকে আসা নানা অভিযোগ ও দাবির বিষয়েও ক্ষমতাসীন দলের মনোভাব জানতে চেয়েছে তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিভিন্নভাবে।

সূত্রমতে, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার এবং সরকারি দলের প্রস্তুতি, নির্বাচনি সহিংসতা রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বা হবে, বিদ্যমান সংকট সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে কোনও সমাধানে আসার সুযোগ আছে কিনা, বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অ্যাডজাস্টমেন্টের কোনও উপায়, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনি সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা ওঠার পর সরকার ও আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি, অবস্থান মার্কিন প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলকে জানিয়েছে, ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অ্যাডজাস্টমেন্ট বা বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং আইনি যুক্তি দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের একজন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বৈঠকটি আগেকার বৈঠকগুলোর তুলনায় দীর্ঘ হয়েছে। আলোচনায় নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাসহ আরও কয়েকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনি ব্যবস্থা, নির্বাচনি পরিবেশ, প্রশাসনের ভূমিকা, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা এবং সাজা দেওয়া, রাজনৈতিক স্পেস, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ বিএনপির তোলা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানতে চান মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এসব বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি আইনি যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই

আওয়ামী লীগের আরেকটি সূত্র উল্লেখ করে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করে কিনা, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কোনও ভাবনা আছে কিনা, বিএনপির অবস্থান এবং খালেদা জিয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্রিফ করেছেন। এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করতে একটি প্রতিনিধি দল শনিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকায় আসে। প্রতিনিধি দলটি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে।