‘‌বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে বলেই এজেন্সি নামানো হল’‌, সিবিআই হানা নিয়ে পাল্টা কুণাল

আজ, রবিবার সকালেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা দিল। পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হাজির হন সিবিআই অফিসাররা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের পর এবার আরও সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। সিবিআইয়ের এই হানা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট। বিজেপি চাপে পড়েছে বলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আসতে হয়েছে।’‌

এদিকে শুধু চেতলা, ভবানীপুরে এই হানা থেমে নেই। সেটা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণেশ্বর, হালিশহর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত। একাধিক পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তবে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই চাপ বেড়েছে বিজেপির। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই এজেন্সিকে নামানো হয়েছে। তাছাড়া মনরেগা বা ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রাখার ইস্যু থেকে মুখ ঘোরাতেই আজ এই হানা বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ব্যাখ্যা।

অন্যদিকে এই সিবিআইয়ের তৎপরতা নিয়ে পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। আজ তিনি টুইট করেছেন। সেখানে লিখেছেন একাধিক কথা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা মঞ্চ থেকে বারবার বলেছেন, কারও কাছে মাথানত করবেন না। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে বাংলায় ছুটে আসতে হয়েছে। রাজ্যপালকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছে উত্তরবঙ্গে। রাজভবনে এলে বাকি প্রতিনিধিদল তাঁর কাছে গিয়ে সব তুলে ধরবেন। এমন আবহে সিবিআই হানা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই হানা দিলেও এখনও কোনও বড় খবর কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি ঠিক কী?‌ ইডি–সিবিআই সূত্রে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

ঠিক কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ?‌ হঠাৎ আজ সিবিআইয়ের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এই দুর্নীতির তদন্ত তো অনেকদিন ধরে চলছে। তাহলে আজ এই হানা কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নজর ঘোরাতেই রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র। এই করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।’‌