BJP group clash: বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে আদি নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব, দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি

বিজেপির কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর সামনেই আদি নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব। একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন আদি ও নব্যগোষ্ঠীর বিজেপি নেতা কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের দোগাছিয়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে বিজেপি। আদি বিজেপির অভিযোগ, নব্য বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। সেই কারণে এলাকায় বিজেপির উত্থান সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনায় উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করে সেখান থেকে চলে যান। 

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল জোর স্লোগান, ছবিতে কালি দেন বিজেপি কর্মীরা

 বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে জামালপুরের দোগাছিয়ায় একটি সভা করেছিল বিজেপি। সেখানেই যোগ দিতে বিকেল পাঁচটা নাগাদ গিয়েছিলেন মন্ত্রী। এরপর পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। জামালপুরের একটি মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ ঘোষালের নেতৃত্বে বেশক কয়েকজন কর্মী প্রথমে রাস্তায় মন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, পুরনো নেতা কর্মীদের চক্রান্ত করে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর কয়েকজন সভার মধ্যে ঢুকে করে বিক্ষোভ দেখান। তখনই বিজেপি নেতা কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অভিজিৎ ঘোষ দাবি করেছেন, তিনি অনেক দিন দলের সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় তিনি দলকে জিতিয়েছিলেন। আগে তিনি সেখানকার মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। অথচ তাঁকে চক্রান্ত করে বাদ দেওয়া হয়েছে। পুরোনদের বাদ দিয়ে নতুনদের কমিটিতে আনা হয়েছে।

এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই সুযোগে হাতছাড়া করতে চায়নি সিপিএম। তারা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যোগাসাজশ রয়েছে। আর এখন বিজেপির নিচুতলার কর্মীরাও সেই কথায় বলছেন। ১০০ দিনের টাকা দেওয়া হচ্ছে না কেন? তা নিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, কর্মীদের দলের প্রতি মান অভিমান থাকতেই পারে। তার মানে যে যোগসাজস রয়েছে সে কথা ঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বিজেপির  মণ্ডল কমিটিতে রদবদল করে নতুন মুখ আনা হয়েছে। তাতেই দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ মেটাতে দলের তরফেও বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল।