Jute commissioner: চাষিদের কাছ থেকে ন্যূনতম দামে পাট না কিনলে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ

এ বছর রাজ্যে পাটের ভালো ফলন হলেও দাম মিলছে না। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। অনেকেই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে পাট। অথচ কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছিল পাট চাষিদের কাছ থেকে ন্যূনতম দামে পাট কিনতে হবে। তা সত্ত্বেও ন্যূনতম দাম না মেলায় জেলায় জেলায় পাট চাষিরা বিক্ষোভ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে পাট চাষিদের ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচাতে তৎপর হয়েছে জুট কমিশনার। দিন কয়েক আগেই একটি বৈঠক হয়েছে। তারপরেই জুট কমিশনারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ন্যূনতম দামে চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লরি ঠেলতে গিয়ে ট্রান্সফরমারে ধাক্কা, বিদ্যুৎপৃষ্ট হুগলির জুট মিলের ১৫ শ্রমিক

জুট কমিশনারের তরফে জানানো হয়েছে, নূন্যতম দামে পাট কেনাবেচা না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যদিও জুটমিল মালিকরা কমিশনারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তা আদৌও কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন পাট চাষিদের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, এ বছর পাটের ন্যূনতম দাম কেন্দ্রের তরফে কুইন্টাল প্রতি ৫০,৫০ টাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল।

 তবে পাট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জুটমিল লগুলি সাড়ে ৫ হাজার টাকায় পাট কিনবে। সে ক্ষেত্রে পরিবহণ খরচ এবং আনুষাঙ্গিক খরচ রয়েছে। তারপরে কেন্দ্রের জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া চাষিদের কাছ থেকে ন্যূনতম দামে পাট কিনতে শুরু করে। কিন্তু দেখা যায় তারপরে আর তৎপরতা দেখায়নি জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। এবার এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে ন্যূনতম দামের ১০০০ টাকা কম দামে পাট কিনতে শুরু করেন। ফলে চাষিরা কুইন্টাল প্রতি পাটের দাম পাচ্ছেন চার হাজার টাকা। আর তাতেই তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ অবরোধ করছেন পাটি চাষিরা। এরপরেই জুটমিল মালিক এবং বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জুট কমিশনার। তারপরে তিনি এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে সস্তায় কাঁচা পাট আমদানি বন্ধ করার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত মে মাসে চটকলগুলিকে চটের বস্তার বরাত দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মতো কাঁচামাল কেনা এবং উৎপাদনের ওপর প্রস্তুতি নিয়েছিল চটকলগুলি। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে হঠাৎ বরাত কমিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতে বিপাকে পড়েন চটকল মালিকরা। ফলে তাঁরা উৎপাদন কমাতে শুরু করেন।