Panic Button: মজা করতে প্যানিক বাটন! তিতিবিরক্ত পরিবহণ দফতর, এবার হবে জরিমানা

যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্যানিক বাটন লাগানো হয়েছিল গণপরিবহণে। মূলত যাত্রীরা কোনও কারণে সমস্যায় পড়লে সেই প্যানিক বোতাম টিপলেই পরিবহণ দফতরে খবর যাবে। এই বোতাম টিপলেই পরিবহণ দফতরের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে খবর যাবে। এমনকী সেই গাড়ির অবস্থান সম্পর্কেও জানতে পারবে পরিবহণ দফতর। সেই অনুসারে পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হবে। এমনটাই পরিকল্পনার মধ্য়ে ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে হিতে কার্যত বিপরীত হয়েছে।

এদিকে পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক মাসে এই প্যানিক বাটন প্রেস করার প্রবণতা মারাত্মকহারে হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০টি করে এই ধরনের প্যানিক বাটন টেপার নজির রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা হয়নি। সবটাই ভুয়ো। প্রসঙ্গত সরকারি বাস, বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাবে এই ধরনের প্যানিক বাটন বসানো হয়।

দেখা যাচ্ছে এই প্যানিক বাটন নিয়ে অনেকেই মজা করছেন। মানে দেখি তো লাল মতো জিনিসটা কী ! এই বলে অনেকেই ওই বাটন পুস করে ফেলেন। এরপরই পরিবহণ দফতর ও পুলিশের কাছে খবর যায়। সেই মতো পুলিশ ও পরিবহণ দফতর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় আদৌ কিছুই হয়নি। সুরক্ষার কোনও সমস্যাই হয়নি।

তবে এবার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, এরপর থেকে যে গাড়ি থেকে দিনে বার বার ভুয়ো সতর্কবার্তা আসবে সেই গাড়ির মালিককেই জরিমানা করা হবে। কারণ এছাড়া আর অন্য কোনও পথ নেই রাজ্য পরিবহণ দফতরের।

কার্যত গাড়ি থেকে প্যানিক বাটন টেপার পরে কোনও সিগন্য়াল এলেই সতর্ক হয়ে যায় পরিবহণ দফতর। কিন্তু এরপর সেই গাড়ির উপর নজরদারি করে দেখা যায় আদৌ সেই গাড়ির মধ্য়ে সুরক্ষাজনিত কোনও সমস্যা হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তার ঘাটতি হয় সেই ধরনের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এদিকে পরিবহণমন্ত্রীও এনিয়ে একাধিকবার মিটিং করেছেন। এনিয়ে বার বার তিনি আলোচনা করেছেন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যাই হয়নি। অথচ প্যানিক বাটন টেপা হচ্ছে।