Sikkim Latest Update: লাচেন, লাচুং থেকে পর্যটকদের উদ্ধারে বায়ুসেনার চপার, এখন কেমন আছে সিকিম?

জয়দীপ ঠাকুর

সুন্দরী সিকিম যেন রাতারাতি অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। সিকিম মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে লাচেন, লাচুং। এই লাচেন হয়েই গুরুদংমার লেকে যেতে হয়। আর ইয়ুমথাং ভ্য়ালিতে যেতে হলে লাচুং হয়ে যেতে হয়। দুপাশে অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতি।

তবে তিস্তার হড়পা বান কার্যত তছনছ করে দিয়েছে উত্তর সিকিমকে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য আটকে পড়া পর্যটকদের প্রত্য়ন্ত এলাকা থেকে এতদিন উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। তবে এবার সোমবার সকাল থেকে প্রথমবার লাচেন ও লাচুংয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা শুরু হল।

সিকিম সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এই প্রথমবার লাচেন থেকে পর্যটকদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার তাদের উদ্ধার করছে। মঙ্গনের রিংঘিম হেলিপ্যাডে নেমেছে সেটি।

পর্যটকদের উদ্ধার করে ফের চপারটি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে উড়ে গিয়েছে লাচেনের দিকে।

তিস্তা কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে একাধিক জনপদকে। সব শেষ। অন্তত ৮২জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ১৪০জন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলা সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত। ওই জেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম ও শহরে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ৩০,০০০ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ওই জেলায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

এক আধিকারিকের মতে, শুক্রবার রাতে প্রথম এনডিআরএফ চুংতাং গ্রামে যায়। তবে শনিবার আইটিবি জিপ লাইনের মাধ্যমে ৫৬জনকে উদ্ধার করেছে। চুংতাংয়ের সঙ্গে পেগংয়ের সংযোগকারী একটা বাঁশের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। সেনা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এটা করা হয়েছে। সেনা ওখানে আর একটা ব্রিজ করছে।

মূলত পর্যটক ও বাসিন্দাদের আনার জন্য এই ব্রিজ ব্যবহার করা হবে। পর্যটন দফতরের এক আধিকারিকের মতে, একটি হোমস্টের মালিক পাহাড়ি পথে অন্তত ১০জন ভারতীয় পর্যটককে নামিয়ে আনেন। সেখান থেকে পর্যটন দফতর তাদের উদ্ধার করেছে।

আসলে পর্যটকরা অতিথি সিকিমের কাছে। নিজেরা বিপদে পড়লেও পর্যটকদের যত্নে রাখার চেষ্টা করে সিকিমের সাধারণ মানুষ।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য রবিবার পর্যন্ত হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। মঙ্গনে বৃষ্টি হচ্ছে। গ্যাংটকেও বৃষ্টি।

কেন্দ্রীয় টিম সোমবার গ্যাংটক যেতে পারে বলে খবর। মূলত কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল সেটা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। তাঁরা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন।