Visva Bharati University: উপাসনা গৃহের সামনে ৩ কিমি রাস্তা ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশ্বভারতীর

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনে রয়েছে তিন কিলোমিটার রাস্তা। সেই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এরজন্য রাস্তাটি ফিরে পেতে আগেই রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনও উত্তর না মেলায় এবার রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মূর্মুর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: বেতন বাড়ানোর আবেদনের পরেই অস্থায়ী কর্মীকে ছেঁটে ফেলল বিশ্বভারতী

ওই চিঠিতে উপাচার্য লেখেন, ‘এর আগে আমরা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পায়নি। তাই আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। বিশ্বভারতী ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এই অবস্থায় এই তকমা বজায় রাখতে গেলে ওই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে ওই রাস্তায় চলা যানবাহনের কম্পনে ১০০ বছরের বেশি পুরনো বিল্ডিংয়ের ক্ষতি হতে পারে।’ উল্লেখ্য, পোস্ট অফিস মোড়কে শ্রীনিকেতনের সঙ্গে সংযোগকারী তিন কিমি রাস্তা ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর দখল করেছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই রাস্তা ফেরানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বভারতীর রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছি। কিন্তু, কোনও উত্তর পায়নি।’ 

উপাচার্য দাবি করেছেন, রাস্তার দুপাশে গাড়ি, ই-রিকশা অবৈধভাবে পার্কিং করা হচ্ছে যার ফলে পর্যটকদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। এরফলে শুধু যে ভবনের ক্ষতি হচ্ছে তাই নয়, দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকছে। উপাচার্যের মতে, ওই রাস্তাটি যতদিন বিশ্বভারতীর হাতে ছিল ততদিন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু, তাদের হাত থেকে চলে যাওয়ার ফলেই সমস্যা হচ্ছে। এই বিশ্ব বিদ্যালয় হেরিটেজ ঘোষণা হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি পর্যটক আসবেন। তাই রাস্তার যান নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন রয়েছে। প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা-সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলির সামনে থেকে টোটো এবং বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলিকেও সরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্ট মাসে বিশ্বভারতী পরিদর্শনে এসেছিল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির একটি প্রতিনিধিদল। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বরে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে বিশ্বভারতী। তারপরেই রাস্তা ফিরে পেতে উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।