প্রত্যেক জেলায় দুর্গাপুজো কার্নিভালের নির্দেশ, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের

প্রত্যেকবারই দুর্গাপুজোর পর হয় কার্নিভাল। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। কারণ ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলায় দুর্গাপুজোর কার্নিভালের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে। আবার ১৪ তারিখ মহালয়া। সব ঠিক থাকলে সেদিন বাড়ির বাইরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পায়ের চোটের জন্য তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল। সুতরাং তিনি বাড়ির বাইরে এলে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে যাবেন।

ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর নজরুল মঞ্চে যাওয়ার কথা। দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা উদ্বোধন করার কথা। আর আগামী ২৭ অক্টোবর কলকাতায় হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। আর ঠিক আগের দিন ২৬ অক্টোবর প্রত্যেক জেলায় জেলাভিত্তিক দুর্গাপুজোর কার্নিভাল করতে হবে বলেই নির্দেশ পৌঁছেছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, এই জেলাভিত্তিক দুর্গাপুজো কার্নিভালের জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিতে হবে। জেলার দুর্গাপুজো একদিনেই ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এটা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন:‌ রাতেই জমা পড়ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নথি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দেন মান্যতা

এদিকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রত্যেক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জেলাভিত্তিক দুর্গাপুজো কার্নিভাল করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আগামী বৃহস্পতিবার জেলায় জেলায় দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও জানানো হয়েছে। এই গোটা বিষয় সম্পর্কে মুখ্যসচিব বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের জানিয়েছেন। আজকের বৈঠকের আগেই প্রত্যেক জেলার দুর্গাপুজোর তালিকা নেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের কাছ থেকে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। ওই বৈঠকের পর কালীঘাটের বাড়ি থেকেই ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী বলে এখনও সেটাই ঠিক রয়েছে। মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে, কেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করা যাচ্ছে না?‌ সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকী কয়েকটি জেলার জেলাশাসকের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভ প্রাশ করেন বলেও খবর মিলেছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে কেন গড়িমসি?‌ জানতে চান মুখ্যসচিব। মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না।