Durga Puja 2023: পুজো দেখতে কত সময় লাগবে? বড় স্ক্রিনে দর্শনার্থীদের জানাতে হবে উদ্যোক্তাদের

পুজো মানে মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে অনেকেই আবার ভিড় পছন্দ করেন না। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপর থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নামতে শুরু করবে দর্শনার্থীদের। এই অবস্থায় মণ্ডপগুলিতে প্রতিমা দর্শনে ঠিক কতটা সময় লাগতে পারে সেই তথ্য দর্শনার্থীদের জানাতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুলিশ। তার জন্য শহরের বড় কয়েকটি পুজো কমিটির মণ্ডপের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।শনিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে পুলিশের সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের সমন্বয় বৈঠক হয়। সেখানে এ বিষয়টি জানান কলকাতা পুলিশের কমিশনার গোয়েল। তবে পুলিশের এই উদ্যোগে সহমত নন অনেক পুজো উদ্যোক্তা। 

আরও পড়ুন: ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে কি প্রবল বৃষ্টি হবে? পুজোয় প্যাচপ্যাচে গরমও থাকবে?

পুলিশের মতে, কোনও মণ্ডপে পুজো দেখতে কতটা সময় লাগছে। তা জানার পরে নিজেদের সুবিধামতো প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। তবে তাতে সহমত জানাননি সুরুচি সংঘের পুজো উদ্যোক্তা স্বরূপ বিশ্বাস। তাঁর মতে, এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। পুজো দেখতে দেরি হচ্ছে জানার পর অনেকে প্রতিমা দর্শন না করেই ফিরে যেতে পারেন। ফলে এরকমটা না জানানোই ঠিক হবে বলে তিনি মনে করেন। অন্যান্য কয়েকটি পুজো কমিটির উদ্যোক্তাও এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এ দিনের বৈঠকে কলকাতা পুলিশ ও পুজো উদ্যোক্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি, দমকল এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা । এ দিনের বৈঠকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রতিবারের মতো এবারও শহরে নজরদারি চালানো হবে  বিশেষ করে রাতের শহরে হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিসর্জনের জন্য জোয়ার ভাটার সময় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের জানানো হবে। 

প্রায় ১৫০০ জন পুজো উদ্যোক্তা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কেউ পুজোর আগে রাস্তা মেরামত করার দাবি জানান, আবার কেউ বিসর্জন নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্যোক্তারা কবে পুরনো জায়গায় পুজো হবে সেই প্রশ্ন তোলেন। তবে জায়ান্ট স্ক্রিন নিয়ে অনেকে আপত্তি জানালেও এই ভাবনাকে স্বাগত জানান পুলিশ কমিশনার। তিনি জানান, আপাতত এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে এটি ব্যবহার করা হবে। সফল হলে পরবর্তীকালে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে। দমকল আধিকারিকরা মণ্ডপে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ সংযোগ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। ১১ অক্টোবর সেই কর্মসূচি করা হবে বলে বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।