Ponzi Scheme: ঠিক যেন দ্বিতীয় সুদীপ্ত সেন! ১০০ কোটির প্রতারণা, দুবাই থেকে কলকাঠি

পুনে পুলিশের ইকেনমিক অফেন্সেস উইং ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তে নামল। পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই তদন্ত। তার মধ্যে মূল অভিযুক্ত দুবাইতে রয়েছে বলে খবর। সোমবার রাতে ইডির তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই এনিয়ে নড়েচড়ে বসে পুনে পুলিশ।

ভারতী বিদ্যাপীঠ থানার পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নবনির্মাণ ভিভা সোসাইটির ফ্ল্যাট থেকে সন্দেহভাজনরা একাধিক ব্যবসা চালাত বলে অভিযোগ। সবগুলিই অবৈধ ব্যবসা। মূলত তারা যে ছকটি করত সেটা হল এককালীন বিনিয়োগ করলে ২-৩ মাসের পর থেকে রিটার্ন আসতে শুরু করবে। কিন্তু কিছুদিন দেওয়ার পরেই তারা সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। এভাবে তারা বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ।

কার্যত পুনের সুদীপ্ত সেন। বিগতদিনে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন যেভাবে জনতার মাথায় টুপি পরিয়ে কোটি কোটি টাকা তছরূপ করেছিলেন বলে অভিযোগ, আর্থিক প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ এবার যেন তারই ছায়া পুনেতে। পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার ( ক্রাইম) টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ইডি আধিকারিকরা আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছিলেন। সেই সময় তারা দেখেন হাওয়ালার মাধ্যমে বিশাল টাকা ভারতের বাইরে পাঠানো হয়েছে।

তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে, ওই সন্দেহভাজনরা একাধিক লোকজনের মাধ্যমে এই টাকা বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপর তদন্তে নেমে দেখা যায় মূল পাঁচটি মাথা এতে কাজ করছে। তারা মালটি লেভেল কোম্পানি চালাচ্ছে। তারা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মোটা টাকা তুলছে। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা এই কোম্পানির নামে টাকা তুলেছে। কিন্তু সেই টাকা হাওলার মাধ্যমে ভারতের বাইরে পাঠানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে তারা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য় এই কোম্পানি খুলেছিল। তবে কতজনকে তারা এই চক্রের মধ্য়ে এনে ফাঁসিয়েছিল সেটা পরিষ্কার নয়।

তারা দুবাইতে কানা ক্যাপিটালস বলে একটা অনলাইন বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কোম্পানি খুলেছিল। বিরাট হারে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তারা বিনিয়োগকারীদের নানাভাবে প্রতারিত করত বলে অভিযোগ।