Tea tourism: চা বাগানের মাঝে বসে চা পান,পর্যটকদের আকর্ষণ ডুয়ার্সের ‘টি লাউঞ্জ’

চা পর্যটনকে আর্কষণীয় করতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। এত দিন শুধু চা বাগান ঘুরতে নিয়ে যেত পর্যটন বিভাগ। তার সঙ্গে এবার জঙ্গলকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।  চা সফরকে আকর্ষণী করার কাজে বসে নেই চা বাগান মালিকরাও। একটি বেসরকারি চা-বাগান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সম্পতি চা বাগানের মধ্যেই তৈরি হয়েছে টি-লাউঞ্জ। চা-বাগানে বসে চা পান। সঙ্গে বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে এই টি-লাউঞ্জে। 

ডুয়ার্সের বক্সা জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। আলিপুরদুয়ার শহরের লাগোয়া এই জাতীয় সড়কের দু’পাশে রয়েছে ডাবেরি চা-বাগান। ডাবেরি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি একটি টি-লাউঞ্জ তৈরি করেছে। ৩১ নম্বর জাতীয় দিয়ে আপনি যদি উত্তর-পূর্বে যান তবে এই টি-লাউঞ্জে আপনি বিরতি নিতে পারেন।  লাউঞ্জে বসে আপানি বাগানের খাঁটি চায়ের স্বাদ নিতে পারবেন।

তবে শুধু চা নয়, সঙ্গে ‘টা’য়েরও ব্যবস্থা থাকছে। মেনু কার্ড দেখে আপানি আপনার পছন্দ মতো ‘টা’য়ের অর্ডার করতে পারেন। মুম্বইয়ের তাজ হোটেল থেকে বিশেষজ্ঞ শেফ আনা হয়েছে চা এবং  বিভিন্ন স্ন্যাকস তৈরির জন্য। শেফ খুসবু আগরওয়াল দায়িত্ব নিয়েছেন ডাবেরি টি-লাউঞ্জের রান্নাঘরের।  আইস টি-সহ ৩২ রকমের চা মিলবে এই লাউঞ্জে। এছাড়া পাবেন চা পাতার পকোড়া। 

(পড়তে পারেন। চা পর্যটনের সঙ্গে জুড়ছে জঙ্গলও, আকর্ষণীয় প্যাকেজ জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের)

আপানি চাইলে এখান থেকে চা পাতা কিনেও বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। ডাবেরি-র ডিরেক্টর মহেন্দ্র আগরওয়াল বলেন, ‘দেশে প্রথম বাগানের ভিতর এই টি-লাউঞ্জ। এই উদ্যোগ সফল হলে আমরা অন্যান্য জায়গাতেও এর ধরনের টি লাউঞ্জ তৈরি করব।’ 

ডাবেরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধরের কথায়,’চা ও স্ন্যাকসের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। দু বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে এই লাউঞ্জ। বিশ্বমানে ফ্রেশরুমও এখানে রয়েছে।’

যাঁরা সন্ধ্যার দিকে এই টি লাউঞ্জে আসবেন, তাঁদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। চায়ে পান সঙ্গে গান। গিটারের ছন্দে।  তাই ডুয়ার্সে বেড়াতে গেলে একবার ঢু মারতেই পারেন ডাবেরি টি লাউঞ্জে।