মধ্যমগ্রামে লটারির ছাপাখানা তল্লাশি ইডির, TMC নেতাদের টিকিট জয়ের রহস্য সন্ধানে?

বৃহস্পতিবার সকালে একটি লটারির ছাপাখানায় হানা দিল ইডি। একাধিক তৃণমূল নেতা লটারির জিতেছেন। সেই লটারির জয়ের টাকা গিয়েছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। গরুপাচার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়টি ইডি নজরে আসে। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যার অ্যাকাউন্টে একাধিক বার লটারি জয়ের টাকার ঢুকেছে। তারই তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামের সুকান্ত নগরে একটি লটারির ছাপাখানা হানা দেয় ইডি।

এদিন সকালে ছয়টি গাড়ি নিয়ে দশ-বারো জনের একটি দল ছাপাখানায় ঢোকে। কারখানা বন্ধ করে শুরু হয় তল্লাশি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাপাখানা ঘিরে রেখেছে। ভিতরে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

তল্লাশি কারণ হিসাবে তৃণমূল নেতাদের একাধিকবার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি থেকে লটারি জয়ের রহস্য অনুসন্ধান বলে মনে করা হচ্ছে। কী ভাবে তাঁরা একাধিকবার লটারি জিতলেন তা তদন্ত করে বার করার চেষ্টা করছে ইডি। এর সঙ্গে ছাপাখানার কোনও যোগ আছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় সমানে আসে তৃণমূল নেতাদের লটারি জয়ের খবর। অনুব্রত মন্ডলের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি উৎস সন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় এই একাধিকবার লটারি জিতেছেন বীরভূম জেলা সভাপতি। শুধু তিনিই নন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও একাধিকবার লটারি জিতেছেন। তদন্তে দেখা যায় সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনবার লটারির টাকা ঢুকেছে। অন্যদিকে অনুব্রত মন্ডলের দুবার লটারি জেতার খবর প্রকাশিত হয়।

(পড়তে পারেন। পুর স্কুলে দুর্নীতি কীভাবে হয়েছে? খতিয়ে দেখবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর)

তদন্তকারীদের সন্দেহ,গরুপাচারে মাধ্যমে আসা কালো টাকা সাদা করার জন্য লটারি সংস্থার সঙ্গে বোঝাপড়া করা হয়েছিল।

লটারি ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর তল্লাশি

 

বৃহস্পতিবার এক লটারি ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। শিলিগুড়ির নামী ওই লটারি ব্যবসায়ীর সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যবসা রয়েছে। 

এদিন সকালে ডাবগ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িত হানা দেয় আয়কর বিভাগ। এরপর এসএফ রোডে ব্যবসায়ীর অফিসেও যায় একটি দল। সেখানে ব্যবসার বিভিন্ন নথি পরীক্ষা । 

তবেএই অভিযান নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।