Cough Syrup Death Latest Update: UP-র এই সংস্থার ওষুধ খেয়েই নাকি মৃত ৬৫ শিশু! সেই কারখানাই ফের খুলে দিল সরকার

চলতি বছরের মার্চ মাসেই নয়ডা ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মেরিয়ন বায়োটেকের উৎপাদন লাইসেন্স বাতিল করেছিল উত্তরপ্রদেশ ড্রাগস কন্ট্রোলিং অ্যান্ড লাইসেন্সিং অথরিটি। অভিযোগ ছিল, এই সংস্থার ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানে মৃত্যু হয়েছিল ৬৫টি শিশুর। তবে এবার সেই সংস্থারই কারখানা খোলার অনুমতি দিল যোগী সরকার। অভিযোগ, মেরিয়ন বায়োটেকের উৎপাদিত ডক-১ কাশির সিরাপ খেয়ে নাকি উজবেকিস্তানে মৃত্যু হয়েছিল ৬৫টি শিশুর। এই আবহে গত ৯ জানুয়ারি ওই সংস্থার লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে মার্চের শেষের দিকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয় সংস্থার উৎপাদন লাইসেন্স। জানা যায়, সংস্থার ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের ক্রয় প্রক্রিয়ায় গরমিল পাওয়া যায়। তদন্ত শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে। (আরও পড়ুন: লাইনচ্যুত হয় ২১টি কামরা, নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা)

তবে গত সেপ্টেম্বরে ফের সেই সংস্থার কারখানা খোলার অনুমতি দেয় উত্তরপ্রদেশের ড্রাগস কন্ট্রোলিং অ্যান্ড লাইসেন্সিং অথরিটি। মেরিয়নকে পাঠানো চিঠিতে নাকি কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, সংস্থার তৈরি অন্য কোনও ওষুধে সমস্যা নেই। তাই সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে অন্যান্য ওষুধ তৈরির জন্য সেটি অনুমতি দেওয়া হল। তবে কাশির ওষুধ তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

অভিযোগ, ডক-১ ম্যাক্স নামক ওষুধ খেয়ে পরপর শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে উজবেকিস্তানে। এই আবহে আমদানিকারক সংস্থা কিউরাম্যাক্সের কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানে। এছাড়া স্টেট সেন্টার ফর এক্সপার্টাইজ অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অফ মেডিসিনের বিরুদ্ধে উজবেকিস্তানের ক্রিমিনাল কোড ১৮৬-৩ ধারায় তদন্ত শুরু হয়। পরে ভারতে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ল্যাব টেস্টের সময় ডক-১ ম্যাক্স নামক সিরাপটিতে রাসায়নিক ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যায়। ওষুধে এই রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণেই মেরিয়ন বায়োটেকের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। উল্লেখ্য, এই একই রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে হরিয়ানার মেডেন ফার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মেডেন ফার্মার ওষুধে এই রাসায়নিক থাকার কারণেই গাম্বিয়াতেও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।

উজবেকিস্তানে ডক-১ ম্যাক্স নামক কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পরেই শোরগোল পড়ে যায় দেশে। নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানায়, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গুণমান নিয়ন্ত্রক পরীক্ষাগারে কাফ সিরাপের পরীক্ষা করা হয়েছিল। নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ডাইথিলিন গ্লাইকল এবং অথবা ইথাইলিন গ্লাইকল নামক বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গিয়েছে।