Jalpaiguri fake nursing centre: জলপাইগুড়ির ভুয়ো নার্সিং সেন্টারের মালিককে গ্রেফতারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন ছাড়াই দিনের পর দিন জলপাইগুড়িতে বেআইনিভাবে চলছিল দিশারী নার্সিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইনস্টিটিউট। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতারিত ছাত্রীরা। তারপরেও এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশ নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের মালিককে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রতারিত ছাত্রীরা। এই ঘটনায় ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের ছাত্রীরা এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখলেন। এ বিষয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ফাঁকা সিরিঞ্জ শরীরে ঢুকিয়ে শেখানো হত, নার্সিং সেন্টারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

বুধবার ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি ইমেল মারফতও মুখ্যমন্ত্রী কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই চিঠির প্রতিলিপি তারা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপারকেউ পাঠিয়েছেন। যদিও পুলিশ সুপার উমেশ খন্ডবাহালে জানিয়েছেন, পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, ছাত্রীরা নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু ফ্ল্যাটের গ্রিলের দরজা তালা বন্ধ থাকলেও ভিতরের দরজার তালা খোলা ছিল বলে অভিযোগ। অনেকক্ষণ তাঁরা গ্রিল ধরে টানাটানি করেন। কিন্তু কারও সাড়া না পাননি । শেষ পর্যন্ত সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া এলাকায় দিশারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুলটি চালু করেছিলেন ময়নাগুড়ির বাসিন্দা শান্তনু শর্মা। করোনার সময় তিনি ও তার স্ত্রী শহরের আক্রান্তদের বিনামূল্যে অক্সিজেন পরিষেবা দিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা ‘অক্সিজেন দম্পতি’ নামে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। পদ্মশ্রী করিমুল হকও নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শান্তনু শর্মা ওই  সেন্টার কীভাবে চালিয়ে আসছিলেন? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।