New train from Asansol: আসানসোল থেকে বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেন চালু করার আর্জি বণিক সংগঠনের

আসানসোল থেকে হাওড়াগামী বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন থাকলেও সেগুলির সময়ের ব্যবধান অনেকটাই বেশি। তাই আসানসোল থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ট্রেন চালু করার দাবি উঠল। ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস এই দাবি জানিয়েছে। এর পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন থেকে হাওড়া পর্যন্ত নতুন ট্রেন দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। তাদের বক্তব্য, প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ট্রেনে আসানসোল থেকে হাওড়া যাতায়াত করেন। নতুন ট্রেন চালু হলে তাদের সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন: ট্রেনে চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীর ওপর প্রস্রাব করল যুবক, জরিমানা দিয়ে মিলল মুক্তি

সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আসানসোল থেকে হাওড়া পর্যন্ত নতুন ট্রেনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তাদের বক্তব্য, এই সময়ের মধ্যে কোনও ট্রেন নেই। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে আসানসোল থেকে হাওড়াগামী প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৫টায়। ওই ট্রেনটি হল অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এছাড়া, সকাল ৭টা ৩ মিনিটে কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে ছাড়ে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং এরপরে বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে ছাড়ে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। এই সমস্ত ট্রেন গুলি আসানসোল থেকে ছাড়ে। তবে সকাল ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে আসানসোল থেকে হাওড়াগামী কোনও ট্রেন না থাকায় সেখানকার মানুষদের অসুবিধা হচ্ছে।

তাছাড়া চিত্তরঞ্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও জনশতাব্দী ছাড়া এখানে কোনও ট্রেন থামে না। তারফলে সেখানকার মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এই স্টেশন থেকে হাওড়া পর্যন্ত সুপারফাস্ট  লোকাল চালু করা গেলেও সেক্ষেত্রে মানুষের সুবিধা হবে। সংগঠনের পক্ষে গত মাসে রেলের কাছে চিঠি দিয়ে ট্রেন চালুর আর্জি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাতে আসানসোল থেকে নয়া দিল্লি পর্যন্ত একটি নতুন সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চালুর দাবি জানিয়েছে। 

সংগঠনের বক্তব্য, চিত্তরঞ্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। এখানে প্রচুর মানুষ কাজ করেন। তাছাড়া এই এলাকা থেকে প্রচুর যাত্রী কলকাতায় যাতায়াত করেন। ফলে নতুন ট্রেন চালু হলে তারা খুব উপকৃত হবেন। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, নতুন ট্রেন চালু করতে গেলে সে ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় নজর রাখতে হয়। তার মধ্যে একটি হল সংশ্লিষ্ট স্টেশনে ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জায়গা থাকতে হবে। তাছাড়া যে সময় ট্রেন ছাড়া হবে সেই সময় অন্য ট্রেন আছে কিনা দেখতে হবে। তবে তিনি জানান, আসানসোলে ট্রেন চালু করা সম্ভব হলেও চিত্তরঞ্জন থেকে চালু করা সম্ভব নয়। কারণ আসানসোলে রক্ষণাবেক্ষণের জায়গা রয়েছে। কিন্তু সেই জায়গা চিত্তরঞ্জন নেই। তবে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।