PM Modi: শত্রুর ভয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর দিকে নজরই দেয়নি আগের সরকার: মোদী

শত্রু দেশের সুবিধা হবে, এই যুক্তিতে আগের সরকার সীমান্ত এলাকায় উন্নয়নের কোনও উন্নয়ন করেনি। কিন্তু ‘নতুন ভারতে’ সেই যুক্তি ভেসে গিয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী জেলা পিথোরাগড়ে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগের সরকারগুলি কেন সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন করেনি… তারা আশঙ্কা করেছিল যে শত্রুরা ভিতরে ঢুকতে পারে… কী অদ্ভুত তাদের যুক্তি ছিল। আমরা এই যুক্তি থেকে দূরে সরে গেছি। আমরা ভীত নই এবং আমরা ভয়ও জাগাই না। সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪২০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এখানে ২৫০টি সেতু, ২২টি টানেল তৈরি করা হয়েছে। আমরা রেল নেটওয়ার্কও সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত প্রসারিত করছি। আগে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোকে শেষ গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থাও তাই ছিল। আমরা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোকে দেশের প্রথম গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করছি এবং গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানে উন্নয়নের সূচনা করছি। আমরা চাই এখানে পর্যটন ও ধর্মীয় পর্যটন বৃদ্ধি পাক।’

মোদি বলেন, ‘এখানকার পাহাড়ে একটি জনপ্রিয় প্রবাদ আছে যে ‘পাহাড় কা পানি অর পাহাড় কি জওয়ানি পাহাড় কে কাম না আতি’ (পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে নিজস্ব যুবশক্তি এবং জলের সুবিধা থাকলেও তা কোনও কাাজে লাগে না)। আমি উন্নয়নের মাধ্যমে এই ধারণাটি পরিবর্তন করতে চাই। ফলে যাঁরা কাজের খোঁজে অন্যত্র চলে গিয়েছেন, তাঁরা আবার ফিরে আসবেন।’

মোদী মহিলা বিল প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন,’৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে মহিলাদের সংরক্ষণের বিষয়টি ঝুলে ছিল। আমাদের সরকার লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩% সংরক্ষণ দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি সেই সময়ে উত্তরাখণ্ডের মহিলাদের কাছ থেকে চিঠিও পেয়েছি…তাদের আশীর্বাদে আমরা আমাদের দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।’

উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এখানে অতীতে প্রচুর লোক মারা গিয়েছে, আগামী ৪ থেকে ৫ বছরে সরকার দুর্যোগ প্রশমনের ব্যবস্থা করবে এবং দ্রুত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য ৪০০০কোটি টাকা ব্যয় করবে।

কেদারখণ্ডে (গড়োয়াল অঞ্চল যেখানে চর ধাম রয়েছে) উন্নয়ন ও যোগাযোগ-সম্পর্কিত কাজের নিয়ে বলতে গিয়ে মোদি বলেন, মানসখণ্ডকেও (গড়ওয়াল অঞ্চল) একইভাবে উন্নত করা হবে যাতে চরধামের জন্য আসা লোকেরাও মানসখণ্ডে আসে, যেটিতে অনেক মন্দির এবং শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য রয়েছে।

এদিন বেশ কিছু প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধাানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।