Operation Ajay rescues 212 from Israel: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে ২১২ ভারতীয় মুখে হাসি ফোটাল ‘অজয়’, তবে এই সবে শুরু

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে কয়েক হাজার ভারতীয় আটকে পড়েছিল ইজরায়েলে। তাঁদের উদ্ধার করে দেশে ফেরাতে চালু হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’। সেই অপারেশনের প্রথম বিমান ভারতীয়দের নিয়ে ইজরায়েল থেকে দেশে ফিরল শুক্রবার সকালে। জানা গিয়েছে, ২১২ জন ভারতীয়কে নিয়ে বিমানটি দিল্লিতে অবতরণ করে আজ ভোরে। বৃহস্পতি রাতে বিমানটি যাত্রা শুরু করেছিল ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ফর্স্ট কাম, ফার্স্ট সার্ভ’ ভিত্তিতে যাত্রীদের বিমানে তোলা হয়েছিল। অর্থাৎ, যাঁরা আগে এসেছে, তাঁদেরকেই আগে বাইছাই করে বিমানে তোলা হয়েছিল।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ভারতে ফিরে আসা নাগরিকদের স্বাগত জানাতে ভোরে দিল্লি বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এর আগে বৃহস্পতি রাতে দিল্লিতে বসেই অপারেশন অজয়ের ওপর নজর রাখছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এর আগে বুধবরই অপারেশন অজয় চালু করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামাস আচমকা হামলা করার পরই তেল আভিভ থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া। এই আবহে সেদেশে থাকা বহু ভারতীয় দেশে ফিরতে চেয়েও আটকে পড়েছিলেন। অবরত বোমা-গুলির আওয়াজে আতঙ্কে দিন কাটছিল তাঁদের। এই আবহে কেন্দ্রী সরকার তাঁদের উদ্ধার করতে অপারেশন অজয়ের ঘোষণা করে।

সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে ভারতীয় নৌবাহিনীকে কাজে লাগানো হবে অপারেশন অজয়ে। তবে আপাতত বিশেষ চার্টার্ড বিমানে করে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। উল্লেখ্য, বহু ভারতীয় পর্যটক, ব্যবসায়ী ইজরায়েলে আটকে পড়েন হামাসের হামলার পর। দূতাবাসের কাছে তাঁরা দেশে ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এদিকে ইজরায়েলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ভারতের কয়েক হাজার পড়ুয়া। এছাড়া কর্মসূত্রে সেখানে থাকেন বহু ভারতীয়। হিরের কাজ করা কারিগর থেকে আইটি কর্মীরা ভারত থেকে ইজরায়েলে যান। এদিকে আয়া হিসেবে ইজরায়েলে কাজ করেন ভারতের কয়েক হাজার মহিলা। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় ইজরায়েলে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয় দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাসের হামলা। পরপর কয়েক হাজার রকেট উড়ে আসে ইজরায়েলের দিকে। এরপর থেকে জারি রয়েছে সংঘর্ষ। এই আবহে ইজরায়েলে রকেট হামলায় জখম হয়েছেন কেরলের এক বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, জখম মহিলার নাম শীজা আনন্দ। তবে এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে কোনও ভারতীয় প্রাণ হারাননি। তবে বেশ কয়েকজন থাই, আর্জেন্তিনীয়, জার্মান প্রাণ হারিয়েছেন হামাসের হামলায়। এদিকে বিদেশি বহু নাগরিককে অপহরণও করেছে হামাসের জঙ্গিরা।