Ration Scam: কেন্দ্রের পাঠানো গম খোলা বাজারে বিক্রি করেছেন বাকিবুর, আদালতে বলল ED

কেন্দ্রের পাঠানো রেশনের গম খোলা বাজারে বিক্রি করতেন রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মন্ত্রীঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। শনিবার তাঁকে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করেছে ইডি। তাদের দাবি, এই দুর্নীতির জাল অনেক দূর বিস্তৃত। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে বাকিবুরকে সোমবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গত বুধবার থেকে ৫৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর শুক্রবার দুপুরে বাকিবুর রহমান নামে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন ইডির গোয়েন্দারা। বাগুইআটিতে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর নথি। একটি খাতা। সঙ্গে ব্যবসায়ীর একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর পর বাকিবুরকে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে জেরা শুরু করে ইডি। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘বাকিবুর রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ।’ স্বাভাবিক ভাবেই এই দাবি স্বীকার করেননি জ্যোতিপ্রিয় বা বাকিবুর কেউই।

এদিন বাকিবুরকে আদালতে পেশ করে ইডি দাবি করে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কেন্দ্রের পাঠানো রেশনের গম খোলা বাজারে বিক্রি করেছেন। রেশন ডিলারদের একাংশ ও দফতরের কিছু আধিকারিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। ইডির দাবি, কোনও রেশন ডিলারের কাছে যে পরিমাণ গম পাঠানো হত তার ৫০ – ৬০ শতাংশ বণ্টন করা হত সাধারণ মানুষের মধ্যে। বাকি গম চলে যেত খোলা বাজারে। কোন ডিলারের কাছে কত গম গিয়েছে তার খতিয়ানও উদ্ধারও হয়েছে বাকিবুরের বাড়ি থেকে। তবে সেই তালিকাকে অন্ধের মতো মানতে নারাজ ইডির তদন্তকারীরা। তাদের আশঙ্কা দুর্নীতির পরিমান এর থেকেও বেশি।

এদিন আদালতে ইডি হেফাজতে বাকিবুরের জন্য বাইরের খাবার সরবরাহের অনুমতি চান তাঁর আইনজীবী। ইডি তাতে আপত্তি জানায়। ইডির আইনজীবী বলেন বাকিবুরকে ভালো মানের খাবার দেওয়া হবে। ফলে এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

বলে রাখি, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে ২০২৩ -২৪ অর্থবর্ষে প্রায় ২.৫ কোটি টাকার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে সূত্রের খবর। গৃহশিক্ষকতাকে আয়ের উৎস হিসাবে জানিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের প্রশ্ন, গৃহশিক্ষকতা করে বছরে আড়াই কোটি টাকা উপার্জন করা যায় কোন মন্ত্রে?