Cash recovered in Karnataka: কর্ণাটকে কংগ্রেস নেতার আত্মীয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৪২ কোটি টাকা, সরব বিজেপি

কর্ণাটকের এক কংগ্রেস নেতার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাশি রাশি টাকার বান্ডিল উদ্ধার করল আয়কর দফতর। যার পরিমাণ হল প্রায় ৪২ কোটি টাকা! শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে আরটি নগরের আত্মনন্দ কলোনিতে কংগ্রেস নেতার আত্মীয়র বাড়িতে হানা দিয়ে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই টাকা খরচ করে কংগ্রেসের ভোট কেনার পরিকল্পনা ছিল বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। 

আরও পড়ুন: ১৮ কোটিতে থামল গুনতি, ২০টি ট্রাঙ্কে টাকা ভরে গার্ডেনরিচ থেকে ফিরল ED

আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই ফ্ল্যাটে একটি ঘরে বিছানার নিচে এই পরিমাণ টাকা মজুত রাখা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই কোথা থেকে এই পরিমাণ টাকা এল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে টাকা ব্যক্তির নিজের নাকি অবৈধভাবে এসেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে বিধায়কের আত্মীয় ওই ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন না বলেই জানা গিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ওই কংগ্রেস নেতার অভিযুক্ত আত্মীয় একজন ঠিকাদার। ২৩টি বাক্সে ৫০০ টাকার নোট গচ্ছিত রাখা হয়েছিল। টাকা গোনার জন্য মেশিন যান আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, আরও বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। যদিও উদ্ধার হওয়া টাকার মোট পরিমাণ এখনও ঘোষণা করেনি।

এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস তেলেঙ্গানায় আসন্ন নির্বাচনের জন্য এই টাকা রেখেছিল। বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অশ্বথ নারায়ণ বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের জন্য তেলেঙ্গানায় এই টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেসের। কংগ্রেস সরকার কর্ণাটককে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনের জন্য এইভাবেই টাকা লুকিয়ে রাখছে। আরও অনেক পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা বাকি আছে। ’

এদিকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘কোনও রাজ্যই অন্য রাজ্যের কাছে টাকা চাইবে না এবং আমরা আমাদের টাকা অন্য রাজ্যকে দেব না। বিজেপি অহেতুক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’ কর্ণাটক কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেম্পেন্না জানান, অভিযুক্ত ঠিকাদার আট বছর ধরে কোনও চুক্তিতে ছিলেন না। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কে তারাকা রামারাও এবং হরিশ রাও কর্ণাটক কংগ্রেসের নিন্দা করেছেন।