Chandrayaan 3: এত সস্তায় বানান কীভাবে? চন্দ্রযান ৩ এর কথা শুনে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চোখ কপালে উঠেছিল

চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য কার্যত চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ব্যর্থতা থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা করে দেখিয়েছে ভারত। তবে এবার ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ রবিবার জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩ এর তৈরির কথা দেখে মার্কিন রকেট মিশনের সঙ্গে যুক্তরা জানিয়েছিলেন ভারত মহাকাশ প্রযুক্তির বিষয়টি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ রবিবার জানিয়েছেন, সময় বদলে গিয়েছে। ভারত এখন উন্নত রকেট তৈরি করছে। ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানেই এনিয়ে মুখ খোলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ।

তিনি জানিয়েছেন, আমাদের দেশ একটা শক্তিশালী দেশ। আপনারা এটা বুঝতে পারছেন? আমাদের দেশের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোত্তম। আমরা যখন চন্দ্রযান ৩ এর ডিজাইন করেছিলাম, এটার উন্নতি করছিলাম তখন আমরা জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি, নাসা-জেপিএলকে আমন্ত্রণ করেছিলাম।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ রবিবার জানিয়েছেন, সেই সময় নাসা জেপিএল থেকে ৫-৬জন এসেছিলেন। ইসরোর সদর দফতরে তাঁরা এসেছিলেন। আমরা তাঁদেরকে চন্দ্রযান-৩ সম্পর্কে বলি। এটা ২৩ অগস্ট চন্দ্রযানের সফট ল্যান্ডিংয়ের আগের কথা। কীভাবে আমরা এটার ডিজাইন করেছি, কীভাবে এটা তৈরি করেছি সবটা তাঁদের বলি। কীভাবে এটা চাঁদের মাটিতে নামবে সবটা তাঁদের বলি। তাঁরা এটা শুনে বলেছিলেন, কোনও মন্তব্য করব না। সবটাই ঠিকঠাক হবে।

জেপিএল হল ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির উদ্যোগে ও নাসার আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি সংস্থা।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ রবিবার জানিয়েছেন, মার্কিন মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা সেই সময় বলেছিলেন, এই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিগুলি দেখুন। এগুলি খুব সস্তার। তৈরি করাটাও সহজ। কীভাবে এটা তৈরি করেন? কেন এগুলো আমেরিকায় বিক্রি করেন না?

তিনি বলেন, অন্তত ৫টি কোম্পানি রকেট ও স্যাটেলাইট তৈরি করছে। শুধু ইসরো নয়, চেন্নাইয়ের কোম্পানি অগ্নিকূল রকেট তৈরি করছে, হায়দরাবাদের কোম্পানি স্কাইরুট তৈরি করছে।