Sitaram Yechury on Layoffs: ২০২২ ব্যাচের ৪৫% বেকার, ২৩’এর ৩০ শতাংশকে অফার দিয়ে ফেরানো হয়, দাবি সীতারাম ইয়েচুরির

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল কর্মসংস্থান। তবে সরকারে আসার পর বিজেপি নিজেদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ করে এসেছে বিরোধীরা। এরই মাঝে সম্প্রতি সরকারের তরফে রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছিল যে বিগত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়েছে গত ত্রৈমাসিকের বেকারত্বের হার। আর সম্প্রতি ‘মিন্ট’ সংবাদপত্রের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত ৬ মাসে আইটি সংস্থাগুলির ২৫ হাজার কর্মীসংখ্যা কমেছে। এই আবহে মোদী সরকারকে তোপ দাগলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ইয়েচুরি লেখেন, ‘মোদী গর্ব করে দাবি করেছেন যে দেশে নাকি কর্মসংস্থান বাড়ছে। তবে তারই মধ্যে কর্মী ছাঁটাইয়ের রিপোর্ট সামনে আসছে। ২০২২ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজনেস স্কুল থেকে পাশ হওয়া পড়ুয়াদের ৪৫ শতাংশই বেকার। এদিকে ২০২৩ সালে ৩০ শতাংশ গ্র্যাজুয়েটকে অফার দিয়ে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মনরেগায় ২০ শতাংশ বেড়েছে কাজের চাহিদা।’

উল্লেখ্য, মিন্টের রিপোর্ট বলছে, গত ছয় মাসে এইচসিএল, টিসিএস এবং ইনফোসিস মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার জনের চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই কর্মীরা নিজেদের থেকেও চাকরি ছেড়েছেন। তবে এই মোটের ওপর এই তিন সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যা গত ৬ মাসে কমেছে ২৫ হাজার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা বেড়েছিল ৮২১। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা বেড়েছিল ৫২৩। আর তারপরই গত তিন মাসে কর্মী সংখ্যা বড় পতন দেখা গিয়েছে টিসিএস-এ। রিপোর্ট বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা কমেছে ৬,৩৩৩।

এদিকে এইচসিএল-এর অবস্থা এতটাও ‘খারাপ’ নয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এইচসিএল-এ কর্মী সংখ্যা বেড়েছিল ৩৬৪৭। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে এইচসিএল-এ কর্মী সংখ্যা কমেছিল ২৫০৬। আর তারপর গত তিন মাসে ফের একবার কর্মী সংখ্যায় বড় পতন দেখা গিয়েছে এইচসিএল-এ। রিপোর্ট বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা কমেছে ২,২৯৯। অপরদিকে ইনফোসিসের অবস্থা এই নিরিখে সবথেকে ‘খারাপ’। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ইনফোসিসে কর্মী সংখ্যা কমেছিল ৩৬১১। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইনফোসিসে কর্মী সংখ্যা কমেছিল ৬৯৪০। আর তারপর গত তিন মাসেও কর্মী সংখ্যায় পতন জারি থাকে ইনফোসিসে। রিপোর্ট বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা কমেছে ৭৫৩০। সব মিলিয়ে গত ৬ মাসে এই তিন সংস্থায় কর্মী সংখ্যা কমেছে ২৫ হাজার।