প্রমোদ গিরি
তিস্তার হড়পা বান কার্যত তছনছ করে দিয়েছে উত্তর সিকিমকে। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির রেশ থেকে বের হতে পারেননি অনেকেই। সেই পরিস্থিতিতে এবার গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ নয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে খবর। তিস্তার উপর দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালাতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জিটিএ। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে সিকিমে তিস্তা নদীতে হড়পা বানের জেরে অন্তত ৯০জনের মৃত্যু হয়েছিল।
জিটিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা জানিয়েছেন, আমরা তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট ৩ যেটা রিয়াংয়ে রয়েছে আর তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট ৪ যেটা কালীঝোড়াতে রয়েছে সেটা আমরা চালাতে দেব না। ন্যাশানাল হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনকে আগে স্থানীয় বিষয়টি বুঝতে হবে। এগুলি করার আগে আগে পাড় বাঁধাইয়ের ব্যাপারটি করতে হবে। তারপর এটা চালাতে হবে।
এদিকে ১৩২ মেগাওয়াটের তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট ৩ ও ১৬০ মেগাওয়াটের তিস্তা লো ড্যাম প্রজেক্ট ৪। দুটোই তিস্তা নদীর উপর। তবে স্থানীয়রা আগে থেকেই এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
তিস্তা নদী খাংচুং ছো নামে একটি হিমবাহ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটা উত্তরপশ্চিম সিকিমে অবস্থিত। এরপর এটি সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের চার জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে গিয়েছে।
অনীত থাপা জানিয়েছেন, বন্যার জেরে দার্জিলিং আর কালিম্পংয়ে তিস্তার জলতলের উচ্চতা বেড়ে গিয়েছে। এটা অত্যন্ত আতঙ্কের। NHPC-এর বাঁধ দেওয়া দরকার। তারা এই সমস্য়া যতক্ষন না মেটাচ্ছে আমরা এই প্রকল্পের কাজ করতে দেব না।
প্রসঙ্গত শুক্রবার কালিম্পংয়ে এই বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটা প্রশাসনিক মিটিং হয়। এরপরই এনিয়ে মুখ খোলেন অনীত থাপা।
গত ৪ অক্টোবর। তিস্তার হড়পা বান উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাসিয়ে দেয়। চুংথাং এলাকায় তিস্তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে।
কালিম্পং জেলার কিছু অংশ যেমন রংপো, তারখোলা, মেল্লি, তিস্তা বাজার, গেলখোলা, ২৯ মাইল, রিয়াংয়েও কিছু ক্ষতি হয়েছে। এদিকে তিস্তার বুকে পলি জমে নদীর উচ্চতা বেড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এরপর কোনও দিন জলস্ফীতি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যাবে।