Laden of Gaza: গাজার ‘লাদেন’ বলে পরিচিত, শয়তানের মুখ! হামাসের নম্বর ২ জঙ্গি নেতাকে খুঁজছে ইজরায়েল

ইয়াহিয়া সিনওয়ার। হামাস জঙ্গি নেতা। এবার ইজরায়েল সেই কুখ্য়াত জঙ্গি নেতার খোঁজে একেবারে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে গত ৭ অক্টোবর যে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়েছিল তার পেছনে হাত ছিল এই হামাস নেতার। হামাসের পদমর্যাদায় একেবারে নম্বর ২। বলা হয় হামাসদের ওসামা বিন লাদেন। তার খোঁজই চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ২৪ বছর সে ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিল। পরে ফিরে যায় প্যালেস্তাইনে। আর এরপর হামাস হানায় মূল চক্রী এই জঙ্গিই। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

এদিকে ইজরায়েলে হামাস হানার পর থেকেই এই নামটা বার বার উঠে আসছে। এই লোকটাকে কার্যত শয়তানের মুখ বলে উল্লেখ করে ইজরায়েল। ইজরায়েলে ১৪০০ মৃত্যুর পেছনে এই জঙ্গি নেতার হাত রয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের। আর সেই জঙ্গি নেতাই এবার ইজরায়েলের অন্যতম টার্গেট।

ইজরায়েলের এক মুখপাত্রের মতে, তারা গাজাতে অভিযানে নামতে চাইছে। সেখানে তারা ওই জঙ্গিনেতার খোঁজ করছে। ১৯৬২ সালে জন্ম এই ব্যক্তির। এরপর গাজার খান ইউনুসে তার বেড়ে ওঠা। সেটা তখন মিশরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইজরায়েল ফোর্স তাকে খান ইউনুসের কসাই বলে ডাকে। একটা সময় তাদের পরিবার আস্কেলন শহরে থাকত। পরে তারা গাজাতে চলে যায়। গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই ব্যক্তি ব্যাচেলার ডিগ্রি নিয়েছিল।

সন্দেহজনক কাজের জন্য তাকে ৮২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর ২৪ বছর জেলে ছিল সে। এরপর প্যালেস্তাইনে থাকা ইজরায়েলের চরদের নিকেশ করতে সে একটি সংগঠনও তৈরি করেছিল। ১৯৮৭ সালে একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি হয়।আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত ওই নেতাকে প্রায়ই দেখা যেত। দুই ইজরায়েলের সেনাকে খুন করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে সে জেল থেকে মুক্তি পায়। এরপর সে হামাসের সঙ্গে যুক্ত হয়। এমনকী আমেরিকা ২০১৫ সালে তাকে বিশ্বের ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় স্থান দেয়। সে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফান্ডিং তুলত। এমনকী হামাসের প্রধান হিসাবেও সে বিবেচিত হয়েছিল। সেই জঙ্গি নেতার খোঁজ চালাচ্ছে ইজরায়েল।