Sikkim Flood: সিকিমে হড়পা বানে বিপুল ক্ষতি হয়েছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির, হিসাব দিল NHPC

হ্রদভাঙা জলে তিস্তায় আসা প্লাবনে সিকিমে এখনও জারি মৃত্যুমিছিল। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেরাজ্যের চুংথাংয়ে অবস্থিত সর্বোচ্চ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। শেয়ার বাজারকে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দিল জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারি সংস্থা NHPC. সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে সিকিমের বন্যায় তাদের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭৮৮ কোটি টাকা।

গত ৩ অক্টোবর সিকিম – তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ লহনক হ্রদের পাড় ভেঙে তিস্তা নদীতে বিশাল হড়পা বান আসে। সেই জল এসে প্রথম ধাক্কা খায় চুংথাং জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধে। গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটনায় বাঁধের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। জলের তোড়ে ভেসে যায় বাঁধটি। যদিও ততক্ষণে তিস্তার নিম্নতর বাঁধগুলির দরজা খুলে দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো গিয়েছে। চুংথাং জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মী জানিয়েছেন বাঁধের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া গেলে বাঁধটিকে বাঁচানো যেত। এর পরই সিকিমে NHPC-র মোট কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। অবশেষে শেয়ার বাজারকে সেই তথ্য দিব সংস্থা।

NHPC-র তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৭৮৮ কোটির ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে ২৯৭ কোটি টাকার মালপত্তর ভেসে গিয়েছে। আর ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকার।

সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, তাদের সমস্ত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বিমার আওতাধীন। ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কাজ করছেন সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকরা। সিকিমে তিস্তা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। তাদের দাবি, জলবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির জন্যই হড়পা বানের ভয়াবহতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।