Durga Puja 2023: ভিড় নয়, গ্রামে কাটান দুর্গাপুজো! বীরভূমের ৩ বাড়ি মিস করা যাবে না, রইল ঠিকানা

শহর পেরিয়ে অনেক দূরে নিরিবিলিতে পুজো কাটাতে চান বেরিয়ে আসুন বীরভুমের এই কয়েকটি জায়গায়। যেখানে শরতের হিমের হাওয়া, কাশফুল, শিউলি ফুলের ভিড়ে হারিয়ে যাবেন নিমেষেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে খুঁজে পাবেন এক অন্য রকম পুজো। আসুন জেনে নেওয়া যাক বীরভূম জেলার কিছু সেরা ঠিকানার নাম-

বসাক বাড়ির পুজো- সিউড়ির বসাক বাড়ির পুজোর আমেজটা একেবারেই অন্যরকম। এই পুজোর আসল বয়স ঠিক জানেন না কেউ। তবে বাড়ির প্রতিষ্ঠা হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই এই বাড়ির পুজোর শুরু হয়। মা মনসার ঘট প্রতিষ্ঠা করেই পুজোর শুরু হয়। নবমী পর্যন্ত নিরামিষ আহারের আয়োজন করা হয় এই বাড়িতে। বৈষ্ণব মতে পুজো করা হয় এই বাড়ির দুর্গা প্রতিমাকে। পিতলের মা দুর্গাকেই আরাধনা করা হয় এই বাড়িতে। অন্য আর পাঁচটা পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা এই বাড়ির পুজো চাইলে এই বছর একবার পা দিয়ে আসতেই পারেন এই বাড়ির দালানে।

আরও পড়ুন: প্যান্ডেল হপিং করতে যাচ্ছেন? এই ক’টি জিনিস ব্যাগে না রাখলেই নয়

দে’ বাড়ির পুজো- ৩২১ বছরের পুরনো এই পুজো শুরু করেছিলেন ইংরেজরা। জমিদার মহানন্দ দে’র আমল থেকে সূচনা হয়েছে এই পুজোর। মহানন্দ দেকে স্বপ্নাদেশ দেন দেবী, অষ্টমীর দিন দেবীর পদচিহ্ন লক্ষ্য করা যায়। তাই ১৫ থেকে ১৬ কেজি সিঁদুর ছড়িয়ে রাখা হয় মন্দিরে। দেবী মায়ের মন্দিরে মা দুর্গার পায়ের ছাপ দেখতেই ভিড় জমায় হাজার-হাজার মানুষ। বৈষ্ণব মতে পালন করা হয় এই বাড়িরও পুজো পদ্ধতি। সপ্তমীর দিনে থাকে ফলভোগ, অষ্টমীর দিনে মাসকলাই বলি হয় এবং লুচিভোগ নিবেদন করা হয় দশভূজাকে। দে বাড়ির অষ্টম বংশধরের এখন দেখভাল করছেন এই বিশেষ পুজোর। চাইলে এই ছুটিতে শহর থেকে খানিক দূরে গিয়ে দেখে আসা যেতে পারে দে’বাড়ির এই বিশেষ পুজো।

আরও পড়ুন: অবিকল যেন একটা মন্দির! নিউটাউনের এই প্যান্ডেল দেখলে চমকে যাবেন

ছোট হাতের দুর্গা- বীরভুমের কীর্ণাহারের সরকার বাড়ির পুজো একেবারেই অন্যরকম। মা দুর্গার আটটি হাত অন্য দুই হাতের থেকে বেশ খানিকটা ছোট। সিংহটিও নরসিংহ। দীর্ঘ ৩৫০ বছরের পুরনো এই বাড়ির পুজো। এই বংশের পূর্বপুরুষ কিশোর কুমার সরকারের হাতেই প্রচলন হয়েছিল এই বিশেষ পুজোর। মা’কে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয় এই বাড়িতে। তাই ১০ হাতের মধ্যে আটটি হাত কাল্পনিক বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এই পুজোতে রয়েছে আরও এক বিশেষত্ব তাল পাথার পুঁথি দেখে পুজোর প্রচলন রয়েছে এখনও।