Kharagpur IIT student death: খড়্গপুর আইআইটিতে আবারও ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু, ব্যাপক চাঞ্চল্য

খড়্গপুর আইআইটিতে আবারও ভিন রাজ্যের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম কে কিরণ চন্দ্র (২১)। ওই ছাত্র তেলাঙ্গানার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। কী কারণে এমন ঘটনা তা কিছুতেই বুঝে উঠছে পারছেন না ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: জয়রামনেই ভরসা, IIT–র ছাত্র মৃত্যুতে সিটের বাকি সদস্যদের নিয়োগ বাতিল হাইকোর্টের

জানা গিয়েছে, ছাত্রটি তেলাঙ্গানা থেকে আইআইটি খড়্গপুরে পড়তে এসেছিলেন। আইআইটি খড়্গপুরের ইলক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থবর্ষের ছাত্র ছিলেন কে কিরণ চন্দ্র। ক্যাম্পাসের লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলে থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অন্যান্য ছাত্ররা। তড়িঘড়ি অন্যান্য ছাত্ররা তাঁকে উদ্ধার করে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেও কিছুক্ষণ বেঁচে ছিলেন ছাত্রটি। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। 

খড়্গপুর আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের ভাইও সেখানে পড়াশোনা করেন। খবর পাওয়ার পরে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। তাঁর সামনেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। এরপরে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এটি আত্মহত্যার ঘটনা। কী কারণে ছাত্রটি আত্মহত্যা করলেন, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তা জানার জন্য অন্যান্য ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরে খড়্গপুরে মৃত্যু হয়েছিল ভিন রাজ্যের পড়ুয়া ফয়জান আহমেদের। গত ১৪ বছরের অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে ফয়জান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপরেই অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন ফয়জানের বাবা-মা। সেই সংক্রান্ত মামলা এখনও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।