Passport Racket: উত্তরবঙ্গের পাসপোর্ট চক্রের পেছনে কি জঙ্গি যোগ? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

তন্ময় চট্টোপাধ্য়ায়

পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে পাসপোর্ট চক্রের খোঁজ। এবার সিবিআই তার তদন্তে নেমেছে। এই চক্রের মাধ্য়মে ভারতের বাইরে মানব পাচার করা হয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। ঠিক কীভাবে চলত এই পাসপোর্ট চক্র?

প্রাথমিকভাবে সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, ভুয়ো আধার কার্ড ও প্যান কার্ডকে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ওরা দাখিল করত। যারা আসল পাসপোর্ট চাইত তাদের সেই পাসপোর্টের বিনিময়তেও এই ধরনের জাল নথি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। সন্দেহভাজনরা তাদের এই পরিষেবা দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকা আদায় করত।

দিল্লি থেকে আসা পদস্থ সিবিআই কর্তারা এই ঘটনার পর্দাফাঁস করেন বলে খবর। ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তার মধ্যে কলকাতার এক ডেপুটি পাসপোর্ট আধিকারিক ও গ্য়াংটকের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের এক সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্টও রয়েছেন। এছাড়াও একাধিক কর্মী, আধিকারিক এই অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন।

গৌতম কুমার সাহা ও গ্য়াংটক পিএসএলকের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট ও দীপু ছেত্রী এক এজেন্টকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। আরও চারজনকে জেরা করা হয়েছে।

দেখা গিয়েছে গত ১৪ অক্টোবর সাহাকে টাকা সমেত হাতে নাতে ধরা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১.৯০ লাখ টাকা তিনি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে আরও ৩.০৮ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে নেপালের একাধিক বাসিন্দাকে ভারতের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল।

এদিকে বিগত দিনে গ্যাংস্টার ও জঙ্গিরা নেপালকে তাদের করিডর হিসাবে ব্যবহার করত। সেক্ষেত্রে এই পাসপোর্ট কোনও অসাধু কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৫০টি পয়েন্টে এই অভিযান করা হয়েছে। কলকাতা, গ্য়াংটক, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান হয়েছে বলে খবর।