‘ঝটকা’ রাজ্য প্রশাসনে, পরপর ২ দিনে বদলি ৭০৪ সরকারি অফিসার, কারণটা কী?

পুজোর আগেই পরপর দু’দিনে ৭০৪ জন সরকারি আধিকারিককে বদলি করল রাজ্য সরকার। যার মধ্যে যেমন রয়েছেন আইএস অফিসার, তেমনই আছেন ডব্লিউবিসিএস অফিসাররা। অতীতে একসঙ্গে এত বদলি দেখা যায়নি। ফলে পরপর দু’দিনে এত সংখ্যক সরকারি আধিকারিককে বদলি নজরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। কী কারণে এত সংখ্যক সরকারি আধিকারিককে বদলি করা হল? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। যদিও এই বদলিকে রুটিন বদলি বলেই জানাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। 

আরও পড়ুন: করোনায় পড়েছিল ছেদ, ফের SI, ASI, কনস্টেবলদের নিয়মিত বদলির নির্দেশ

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ১৫৮ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়। তার মধ্যে আইএস আধিকারিক এবং ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটি) পদের আধিকারিকরা ছিলেন। এরপর মঙ্গলবার আরও তিনটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই ক্ষেত্রে একটি তালিকায় ৩৬৯ জন, দ্বিতীয় তালিকা ৬৭ জন এবং তৃতীয় তালিকায় ১১০ জন অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৫৪৬ জন অফিসারের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। যার মধ্যে বিডিও এবং জেলাস্তরের আধিকারিকের বেশি। 

নবান্নের ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব প্রসেনজিৎ হংসকে বদলি করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিবকে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনভীর সিংহকে পরিবহণ দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে  সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। ওই জায়গায় মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক অংশুল গুপ্তকে আনা হয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বিশেষ সচিব, হাওড়া পুরসভার সচিব, হাওড়ার জেলাশাসকের রদবদল করা হয়েছে।

এত সংখ্যক বদলি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এর আগে কোনওদিন এত সংখ্যক বদলি হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা।  যদিও প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, এগুলি রুটিন বদলি। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনের কারণে বদলি করা হত কারণ এই সমস্ত আধিকারিকদের একই জায়গায় কার্যকালের তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের বদলি ছাড়াও এর আগে পুলিশ আধিকারিকদেরও বদলি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ১২ টি জেলার জেলাশাসক ছাড়াও পুলিশ আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছিল।