‘KLO-র যুদ্ধ তহবিলে ১০ লাখ দিতে হবে’, WhatsApp না দেখতে ‘ব্যবসায়ীর কাছে এল ফোন’

ফের সক্রিয় কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)। এক ব্যবসায়ীকে কেএলও’র নাম করে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সেক্ষেত্রে টাকা না দিলে ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর নাম বিনয় দাস। ঘটনায় তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ধূপগুড়ির ফল বেরোতেই ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে ভিডিয়ো কেএলও প্রধান জীবন সিংহের

ব্যবসায়ীর অভিযোগ, কেএলওয়ের ‘যুদ্ধ’ তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেটি দেখেননি। পরে তাঁকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও আদৌও কেএলও’র তরফে ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে? নাকি এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই বিষয়টি দেখছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের নাজিরান দেওতিখাতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি আগে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে তিনি আর কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত নন। ব্যবসায়ীর দাবি, গত শনিবার তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানো হয়েছিল। 

তাঁর বক্তব্য, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি না দেখায় বুধবার সকালে অজ্ঞাতপরিচিত এক ব্যক্তি কেএলও’র নামে ফোন করে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি দেখতে বলে এবং ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনদিনের মধ্যে টাকা না মেটালে ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীর। 

তিনি জানান, ব্যবসার সূত্রে তাঁকে অসমে যেতে হয়। এই অবস্থায় হুমকি চিঠি পাওয়ার পর থেকে কার্যত তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বক্সিরহাট থানার জোড়াই ফাঁড়িতে গিয়ে প্রথমে গোটা ঘটনা পুলিশ আধিকারিকদের কাছে মৌখিকভাবে জানান। পরে বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীকে হোয়াটসঅ্যাপে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে কেএলও’র আর্মির সিইও ও কালেক্টরের সই আছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৮৩ সাল থেকে এই অঞ্চলকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। অনুদান হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে  যদিও ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, কোথায়, কীভাবে বা কাকে টাকা দিতে হবে? সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে চিঠি পাওয়ার পর থেকে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।