Durga Puja: ২০২৪ দুর্গাপুজোয় সোনার চালচিত্র দিয়ে প্রতিমা সাজানোর পরিকল্পনা এই পুজো কমিটির

২০২৩ দুর্গাপুজোর উৎসবের সূর্য প্রায় মধ্যগগনে। সপ্তমী রাত পার মানেই অষ্টমী শুরুর পালা। আর অষ্টমী মানেই সকাল থেকে পুষ্পাঞ্জলীর তোড়জোড়, বিকেল হলেই ঠাকুর দেখা। এরপর নবমীর নিশিকে না যেতে দেওয়ার করুণ আকুতি। পরে দশমী আসতেই সিঁদুর খেলা। প্রতিবারই এই নিয়মে পার হয়ে যায় দুর্গাপুজো। আর পরের বছরের জন্য শুরু হয় অপেক্ষা। শুরু হয় পরের বছরের দুর্গাপুজোর পরিকল্পনা। সেই নিয়মেই ওড়িশার কটকের এক পুজোয় পরের বছরের ঠাকুর ঘিরে পরিকল্পনা হয়ে গেল।

ওড়িশার চৌধুরী বাজারের পরের বছরের দুর্গাপুজোয় ঠাকুরের চালচিত্র সোনার তৈরি হবে বলে খবর। এমনই পরিকল্পনার পথে এগোচ্ছে পুজো কমিটি। উল্লেখ্য, বর্তমানে সেখানে ঠাকুরের চালচিত্র রুপোর তৈরি। ওড়িশার দুর্গাপুজোয় এই পুজো কমিটি কার্যত ট্রেন্ড সেটার। ১৯৫৬ সালে এই পুজোই প্রথমবার রুপোর ফিলিগ্রি ব্যবহার করে। পরে দেবীর সাজে আসে সোনার গয়না। আসে সোনার মুকুট। এমনকি মহিষাসুরের গয়নাও সেখানে সোনার।

( Weather Rain Forecast in WB:পুজোর শেষ লগ্নে নিম্নচাপের ভ্রূকুটি! বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? অষ্টমীর আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে)

এই পুজোয় প্রতি বছরই ভক্তরা সোনার গয়না বা রুপোর গয়না মানত হিসাবে অর্পণ করেন। শোনা যায়, এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। সেই থেকেই দর্শনার্থীদের বিশ্বাস রয়েছে। পুজো কমিটি বলছে, আগামী বছরে তারা চাইছে চালচিত্রের উপরের ভাগের অংশে বেশ কিছুটা জায়গা হবে সোনার। সেক্ষেক্রে ২ কেজি সোনা ব্যবহৃত হবে বলে খবর। এর আগে চালচিত্রের উপরে ৯ টি কলিকা সোনার হিসাবে রাখা হয়ে থাকে। তবে পরের বছর থেকে এই কলিকা ১১ টি হবে। উল্লেখ্য, এই চালচিত্রে যে রুপোর কারুকার্য করা অংশ রয়েছে, তার নৈপূণ্য আবর্ণনীয়। এছাড়া ২.৫ কুইন্টাল রুপো ও সোনা দিয়ে তৈরি এই চালচিত্র এখানের অন্যতম আকর্ষণ। ফলে কটকের এই দুর্গাপুজো সমান তালে টক্কর দিচ্ছে প্রতিবেশী ওড়িশার এই পুজো। ফলে ২০২৪ দুর্গাপুজোয় কতটা  তাক লাগাতে পারে সেদিকে তাকিয়ে অনেকেই।