Lakshmi Bhandar: ২৬ মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছে যুবক, BDO–র হস্তক্ষেপে হল সমাধান

বাড়ির মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধুমাত্র মহিলাদেরই মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। কিন্তু, এবার দেখা গেল মহিলা নয়, একজন যুবক দিনের পর দিন পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। তাও এক মাস বা এক বছর নয়, টানা ২৬ মাস ধরে ওই যুবক লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের ২ নম্বর ব্লকের। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই সমস্যার সমাধান হল।

আরও পড়ুন: উপভোক্তার সংখ্যা ছাড়াচ্ছে ২ কোটির গণ্ডি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিলল তথ্য

ব্যাপারটা কী?

স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আসলে ওই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা হল ফরিদা খাতুন নামে এক মহিলার। প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জমা পরার মোবাইল বার্তা পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হচ্ছিল না, সেটি জমা পড়েছিল সম্মতিনগরের হুদরাপুরের বাসিন্দা সাদের শেখ নামে এক যুবকের অ্যাকাউন্টে। ওই যুবক ২৬ মাস ধরে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন। এই ঘটনায় প্রথমে প্রশাসনের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু তারপরে কোনও কাজ হয়নি। এরপর সম্প্রতি ওই ব্লকে নতুন বিডিও এসেছেন। তাঁর নাম হল দেবোত্তম সরকার। বিষয়টি জানার পরে মহিলা বিডিওর কাছে অভিযোগ জানান। এই ঘটনায় তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করেন বিডিও। ঘটনায় তিনি প্রশাসনের গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য এক আধিকারিককে তিনি নিয়োগ করেন। সোমবার ওই যুবককে ডেকে পাঠান বিডিও। এরপর বিডিওর কাছে যুবক স্বীকার করে নেন যে ওই টাকা ফরিদা খাতুনের।

 একইসঙ্গে যুবক জানান, তিন হাজার টাকার বিনিময় ওই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফরিদার নামে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির কথা স্বীকার করলেও বাইরের দালাল চক্র যে জড়িত রয়েছে সে কথা জানান বিডিও। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। তবে যুবক এতদিন ধরে যে টাকা পেয়েছিলেন সেই ১৩,০০০ টাকা ফেরত দেন। সেইসঙ্গে তিনি মুচলেখা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। এরপরে বিডিও মহিলাকে ডেকে তাঁর হাতে প্রাপ্য টাকা তুলে দেন।