Mohan Bhagwat on Israel-Hamas War: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি হতে পারে ভারতেও? কী বলছেন RSS প্রধান

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের দিকে নজর গোটা বিশ্বের। হামাস জঙ্গিদের হামলয় ইজরায়েলের ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের জবাবি হামলায় গাজায় বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই আবহে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সঙ্গে ভারতের পরিস্থিতির তুলনা টেনে মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান। ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে সেই ৭ অক্টোবর থেকে। এই আবহে মোহন ভাগবতের বক্তব্য, হিন্দুরা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই ভারতে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের মতো কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না। নাগপুরের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শনিবার ভাগবত এই মন্তব্য করেন। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজ্যাভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

মোহন ভাগবত বলেন, ‘ভারতে এমন একটা ধর্ম আছে যে অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। এই দেশে হিন্দুদের কথা বললে আলাদা করে মুসলিমদের কথা বলতে হয় না। সকলেরই অধিকার রক্ষা করা হয় এখানে। এমনটা শুধু হিন্দুরাই করে। এমনটা শুধু ভারতেই হয়। বিশ্বের অন্য কোথাও এসব হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নানা দেশে নানা বিষয় নিয়ে সংঘাত চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বা হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ হচ্ছে। আমাদের দেশে শিবাজি মহারাজের সময় এভাবেই জমি বেদখল হয়েছিল। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করিনি। ভারতে কখনও এই ধরনের ধর্মীয় ইস্যুতে যুদ্ধ হয়নি। আর তাই আমরা হিন্দু।’ মোহন ভাগবত বলেন, ‘ভারতবর্ষ হিন্দুদের দেশ। তার মানে এই নয় যে আমরা অন্য সমস্ত ধর্মকে প্রত্যাখ্যান করব।’

এর আগে হামাসকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন মোদী। সম্প্রতি আবার প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদী। গাজার হাসপাতালে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কথা হয় দু’জনের। প্যালেস্তাইনকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক ভাবে ভারত প্যালেস্তাইনের দাবিকে সমর্থন করে এসেছে কয়েক দশক ধরে। তবে বিগত কয়েক বছরে ইজরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে ভারতের। এই আবহে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে সামঞ্জস্যের রাজনীতির পথে হাঁটছে ভারত। এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও সরাসরি কোনও দেশকে সমর্থন করেনি ভারত। বরং যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।