Supreme Court on Judges’ Appointment: ‘বাছাই করে করে নিয়োগ নয়’, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সরকারকে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বাছাই’ করতে বারণ করা হল কেন্দ্রকে। শুক্রবার এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে দেয় সরকারকে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম বনাম সরকারের সংঘাত জারি বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বারংবার এই বিরোধ সামনে এসেছে। এমনকী আইনমন্ত্রী থাকাকালীন কিরেণ রিজিজু নিজে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে কলেজিয়ামের বহু সুপারিশ ‘পড়ে রয়েছে’। আর তাই বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার বলে, কলেজিয়ামের অনেক সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত ৯ মাস ধরে এমনটা হয়ে আসছে। এই আবহে আদালতকেই কেন্দ্রের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতে হচ্ছে। তিন সদস্যের এই সুপ্রিম বেঞ্চে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ছাড়াও আছেন শুধাংশু ধুলিয়া, মনোজ মিশ্র। বেঞ্চের তরফে বলা হয়, বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টির ওপর সুপ্রিম কোর্টের নজরদারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত ১ মাসে ১২ জনেরও বেশি বিচারপতিকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। তবে কলেজিয়ামের সুপারিশগুলি থেকে বেছে বেছে নিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে।

এই আবহে কেন্দ্রের উদ্দেশে বিচাপতি সঞ্জয় কিশাণ কউলের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘এভাবে বাছাই করে কাউকে নিয়োগ করলে তাতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। একজনকে নিয়োগ করা হল, অপরজনকে করা হল না, এতে সিনিয়রিটির দিক দিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এই কারণেই অনেক ভালো প্রার্থী এখন বিচারপতি হতে সম্মত হচ্ছেন না।’ সুপ্রিম বেঞ্চের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলবীর সিংকে বলা হয়, ‘মাদ্রাস হাই কোর্টের জন্য ৪ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। বাকি দু’জনকে নিয়োগ করা হয়নি। এদিকে গত কয়েকদিনে সরকারের তরফে ১৬ জন বিচারপতির বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে ১১ জন বিচারপতির বদলি করা হয়নি সুপারিশ অনুযায়ী।’

বিচারপতিরা সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করে, ‘কেন্দ্র কেন এমন (সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ না করে বিলম্ব) করছে? এই সব নিয়োগের ক্ষেত্রে আলোচনা করা হয়। এর একটা প্রক্রিয়া আছে। তবে বদলির ক্ষেত্রে তো উল্লেখিত ব্য়ক্তি ইতিমধ্যেই একজন বিচারপতি আছেন। সেখানে দেরি কেন করা হচ্ছে? সরকার এখন পদক্ষেপ করছে ঠিকই। কিন্তু আরও তৎপরতা প্রয়োজন।’