দিল্লির তিলকনগরে সুইজারল্যান্ডের তরুণীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তরুণীর প্রেমিক গুরপ্রীত সিং। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুইজারল্যান্ডের তরুণী নীনা বার্জারকে বিয়ে করতে চেয়েছিল গুরপ্রীত সিং। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নীনা। এরপর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সেই সন্দেহের বশেই তাঁকে খুন করেছিল গুরপ্রীত সিং। শেষে গাড়ির সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই গাড়িটি একজন মহিলা যৌনকর্মীর আধার কার্ড দেখিয়ে কিনেছিল গুরপ্রীত সিং।
আরও পড়ুন: বিষ খাইয়ে নিজের স্বামী–শ্বশুরবাড়ির সদস্যকে খুন করলেন বিজ্ঞানী, স্তম্ভিত পুলিশ
একটি সাদা স্যান্ট্রো গাড়িতে করে প্রেমিকার দেহ ফেলে দিয়েছিল গুরপ্রীত সিং। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তরুণীর হাত পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল৷ তিলকনগরের ১৮ নম্বর ব্লক থেকে উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, ওই গাড়ি থেকে তরুণীর দেহ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাতেই গাড়ির নম্বর দেখতে পায় পুলিশ। পরে গাড়ির খোঁজ করতেই পুলিশ জানতে পারে, ৮ অক্টোবর একজনের কাছ থেকে গাড়িটি ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনেছিল অভিযুক্ত। পুলিশ জানতে পারে, বহুবার গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছিল।যে মোবাইল ফোন নম্বরটি ডিলারকে গুরপ্রীত দিয়েছিল সেই নম্বরটি ৩ দিন পর বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া, পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে তিনি যে আধার কার্ড গাড়ির ডিলারকে দিয়েছিল তা একজন মহিলা যৌনকর্মীর। পরে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন স্থানান্তরের জন্য ডিলার তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফোনটি বন্ধ ছিল।
পরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুরপ্রীতের দ্বিতীয় নম্বর ট্র্যাক করে। তাতেই তার সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। এর পাশাপাশি ওই মহিলা যৌনকর্মীরও সন্ধান পায়। পুলিশ মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে একটি হোটেলে তার কাছ থেকে আধার কার্ড নিয়েছিল গুরপ্রীত। পরে এই আধার কার্ডটি গাড়ি কেনার কাজে সে ব্যবহার করেছিল।
উল্লেখ্য, দিল্লি ঘুরিয়ে দেখানোর নাম করে সুইজারল্যান্ডের প্রেমিকাকে ভারতে ডেকেছিল গুরপ্রীত। এরপর তরুণী ভারতে আসলেই তাঁকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে হাত-পা শিকলে বাঁধে ওই যুবক। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে দেখো ফেলে দেয় গুরপ্রীত। শুক্রবার তিলকনগর এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।