Rath Prabhari: মোদি সরকারের সাফল্যের ঢাক বাজাবেন আমলারা? ‘রথ প্রভারি’ নিয়ে তীব্র আপত্তি কংগ্রেসের

মঞ্জিরী চিত্রে

যুগ্ম সচিব, ডিরেক্টর, ডেপুটি ডিরেক্টর পর্যায়ের আধিকারিকদের জেলাস্তরে রথ প্রভারি পদে নিয়োগ করা হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। একথা জানাতেই নানা বিতর্ক দানা বাঁধে। মূলত সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জনতার মধ্যে প্রচার করার জন্য বিজেপি এই আমলাদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল বলে খবর। সরকারের নানা কৃতিত্বকে তারা সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরবেন বলে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এদিকে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি আমলাতন্ত্রের মধ্য়েও রাজনীতি ঢোকাতে চাইছে।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা প্রত্যাহার করুন। 

কিন্তু এই রথ প্রভারী ব্যাপারটি ঠিক কী?

গত ১৮ অক্টোবর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে ৯ বছর ধরে সরকারের যে সাফল্য সেটা তুলে ধরার কথা বলা হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ২০ নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালানোর কথা বলা হয়।

সেই সার্কুলার কার্যত ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। জয়েন্ট সেক্রেটারি, ডিরেক্টর, ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিকদের জেলা রথ প্রভারি হিসাবে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে ৭৬৫টি জেলার এই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এর মাধ্যমে ২.৬৯ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কভার করবে এই কর্মসূচি।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে রবিবার এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিন। তাঁর মতে নানা কারণে এটা উদ্বেগের। তাঁর মতে, অফিসারদের মার্কেটিং করার জন্য় পাঠানো হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। এটা সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস কন্ডাক্ট রুল ১৯৬৪এর বিরোধী। সেখানে বলা হয়েছে কোনও সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না। তাদের নির্লজ্জের মতো শাসকদলের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সামনে পাঁচ রাজ্য়ে নির্বাচন আর লোকসভা ভোটের আগে এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।

এমনকী সেনাদের ছুটি নিয়ে সরকারি স্কিম সম্পর্কে প্রচার করার জন্য বলা হবে। এমন নির্দেশের ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছেন খাড়গে।

সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের কাছে অবাক করা ধারনা হতেই পারে, তবে পাবলিক সার্ভিস দেওয়া এটা সরকারের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।