মুম্বই: আগের ম্য়াচে ৩৯৯ রানের বিশাল স্কোর করে একপেশেভাবে ম্যাচ জেতা দলের মুখোমুখি কেই বা হতে চায়? তাও সেই মাঠেই, যেখানে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ শিবিরের যোদ্ধারা। বাংলাদেশের সামনে মঙ্গলবার তাই অগ্নিপরীক্ষা (Ban vs SA)। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাদের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার যারা গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (ODI World Cup) ইংল্য়ান্ডকে এই মাঠেই ২২৯ রানে বিধ্বস্ত করেছে।
চার ম্যাচে তিন জয়। পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছেন প্রোটিয়ারা। সবচেয়ে বড় কথা, নেদারল্য়ান্ডসের বিরুদ্ধে অঘটনের আগে পর্যন্ত প্রত্যেক ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩৪ রানে জয়। এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২৯ রানে জয়। টুর্নামেন্টের সেরা রান রেট এখন তেম্বা বাভুমাদের দখলে।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করা সব ম্যাচে তিনশোর বেশি রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টপ অর্ডারে কুইন্টন ডি’কক দুরন্ত ছন্দে। হেনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন সব বোলিংকে ছারখার করে দিচ্ছেন। কাগিসো রাবাডা, লুনগি এনগিডি, মার্কো জানসেন ও জেরাল্ড কোয়েৎজে সমৃদ্ধ পেস বোলিং বিভাগ যে কোনও ব্য়াটিংকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট। সঙ্গে কেশব মহারাজের বাঁহাতি স্পিন। একমাত্র ডাচদের বিরুদ্ধে প্রথমে ফিল্ডিং করে ভরাডুবি হয়েছিল।
সেমিফাইনালের দৌড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ভালমতোই থাকলেও, সমস্যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর পরপর তিন ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। ইংল্যান্ড, নিউজ়িল্যান্ড ও ভারতের বিরুদ্ধে। আর একটা ম্যাচ হারলেই সেমিফাইনালের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সমস্যা অনেক। মুশফিকুর রহিম ছাড়া আর কেউই সেভাবে রান পাচ্ছেন না। নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ ছাপ ফেলতে পারছেন না। লিটন দাসের ধারাবাহিকতার অভাব। তাস্কিন আমেদকে এই ম্যাচেও পাওয়া যাবে না। শাকিব আল হাসান আগের ম্যাচে চোটের জন্য খেলতে পারেননি। তবে রবিবার তিনি অস্বস্তি ছাড়াই প্র্যাক্টিস করেছেন। সম্ভবত খেলবেন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমারও চোট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেন এইডেন মারক্রাম। সুস্থ হয়ে গেলে বাভুমা ফিরবেন একাদশে।