রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন? তা নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। ‘জেনারেল এসভিআর’ (General SVR) নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে রবিবার রাতের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন পুতিন। সেদিন রাত ন’টার দিকে বেডরুম থেকে পুতিনকে উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তারক্ষী। মেঝেতে পড়েছিলেন তিনি। পাশে উলটে ছিল টেবিল। তাতে খাবার ও পানীয় ছিল বলে ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। যে মেসেজিং অ্যাপ ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এক আধিকারিক নিয়ন্ত্রণ করেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ‘প্রেসিডেন্ট যখন পড়ে যান, তখন টেবিল এবং বাসনপত্রে ধাক্কা লাগে। সেগুলি মেঝেতে পড়ে যায়। তার জেরে সজোরে শব্দ হয়।’ ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে মেঝেতে পড়েছিলেন পুতিন। সেইসময় যে চিকিৎসকরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের দ্রুত ডাকা হয়। তড়িঘড়ি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের চিকিৎসা শুরু করা হয় বলে ওই বিবৃতি উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Vladimir Putin: চিন সফরে পুতিন সঙ্গে নিয়েছেন ‘নিউক্লিয়ার ব্রিফকেস’! কী রয়েছে এতে? ছবি ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলের বিবৃতি উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পুতিনকে তড়িঘড়ি তাঁর বাসভবনের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা। তারপর পুতিনের বাসভবনেই থাকা একটি ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ কেয়ার’ ওয়ার্ড নিয়ে যাওয়া হয়। ওই চ্যানেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সময়মতো চিকিৎসা করা হয়েছে। হৃদপিণ্ডের কার্যকলাপ ফের শুরু করা হয়। সংজ্ঞা ফিরে আসে পুতিনের।’
আরও পড়ুন: Putin on Yevgeny Prigozhin Death: ‘বিমানের ভেতরে হয়েছিল বিস্ফোরণ’, ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে দাবি পুতিনের
বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার তরফে অবশ্য সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি পুতিন একবারও সামনে আসেননি। বরং জনসমক্ষে এসেছেন পুতিনের ‘বডি ডবল’। ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি সব বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে যোগ দেন পুতিনের বডি ডবল। (রবিবারের) ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর টেলিফোনের মাধ্যমে পুতিনের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি কথা বলেন। আগামিদিনে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে কী করা হবে, তা নিয়ে সোমবার আলোচনা করতে রাজি হয়ে যান তাঁরা।’