মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে WB CID–র তোলাবাজির অভিযোগ, তদন্তভার নিল CBI, তোপ শুভেন্দুর

মুম্বইয়ের এক পানশালা ব্যবাসায়ীর কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা তোলা চেয়ে হুমকির মামলায় তদন্তভার হাতে নিল সিবিআই। গত বছর মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র নভলানির কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ২ সিআইডি অফিসার রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, বালিগঞ্জ থানার ওসি সুদীপ দাশগুপ্ত সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘আইন সকলের উর্ধ্বে।’

আরও পড়ুন: বাংলার CID আধিকারিকের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুললেন মুম্বইয়ের ব্য়বসায়ী

এর আগে ওই ব্যবসায়ী সিআইডি এবং পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ওরলি থানায় একটি তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলাটি নিজেদের হাতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, পুলিশ ও সিআইডির অফিসাররা ওই ব্যবসায়ীর জিতেন্দ্র নাভলানির কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলাবাজি করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে সিবিআই। নাভলানি অভিযোগ করেছিলেন, যে কলকাতা পুলিশ তাঁর সংস্থা বোনানজা ফ্যাশন মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্ত করছে। গত বছরের জুলাই মাসে তাঁর স্ত্রী দুবাই থেকে ফেরার পর মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছেলেন। সেই সময় তাঁকে থামানো হয় এবং কলকাতা পুলিশের জারি করা লুক আউট নোটিশের ভিত্তিতে বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর কলকাতা থেকে সিআইডি অফিসার রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় এসে তাঁকে হেফাজতে নেন।

 নাভলানি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে রাজর্ষির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মামলায় তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। এরপরেই ১০ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন। তখন ওই অফিসার নাভলানিকে কলকাতার অন্য একজন সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য করেছিলেন। তবে তিনি ঘুষ দাবি করেছিলেন। সিবিআই এফআইআর অনুযায়ী, নাভলানি টাকা দিতে সম্মত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সংগ্রহ করেন অফিসাররা। 

কয়েক মাস আগে তদন্ত মুম্বই পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আজ বুধবার শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এবিষয়ে জানিয়েছেন।একইসঙ্গে হিন্দুস্থান টাইমসের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে জানান, নাভলানি তাঁর অভিযোগে পশ্চিমবাংলার পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এবং অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেলের নামও বলেছিলেন। শুভেন্দু  নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘কেউ যত উঁচুতে থাকুন না কেন আইন সবার উর্ধ্বে।’