Assets of Bakibur Rahman: ‘মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ’ বাকিবুরের ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ, লজ্জা পাবেন পার্থ-অর্পিতাও!

রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান। তিনি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। আর তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই কার্যত বিরাট সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অন্তত ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে বলে খবর। নামে, বেনামে, আত্মীয়দের নামে এই বিপুল সম্পত্তি। এগুলি রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য করা হয়েছিল নাকি ব্যবসার টাকায় করা হয়েছিল তা দেখা হচ্ছে।

এবার প্রশ্ন কীভাবে এই বিপুল সম্পত্তি করলেন বাকিবুর? বলা ভালো বাকিবুরের সাম্রাজ্য। অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। সেই শেয়ার মিলিয়েই বাকিবুরের সম্পত্তি প্রায় ৫০ কোটি। নিউ টাউন, রাজারহাট, পার্কস্ট্রিটে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তার। একেবারে অভিজাত আবাসনে এই সব ফ্ল্যাট। অন্তত ৯০টিরও বেশি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে নতুন করে। বাকিবুরের একাধিক হোটেল, পানশালাও রয়েছে। বিদেশেও তার সম্পত্তি রয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে বাকিবুরের একেবারে বিপুল সম্পত্তি। কার্যত দেশের বড় শিল্পপতিরাও বাকিবুরের সম্পত্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।

প্রশ্ন উঠছে এত সম্পত্তি কীভাবে করলেন বাকিবুর? এদিকে বাকিবুরের ফ্ল্য়াট থেকে সরকারি দফতরের প্রচুর স্ট্য়াম্প পাওয়া গিয়েছে। সেই স্ট্যাম্প কী জন্য ব্যবহার করা হত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বাকিবুরের সঙ্গে দুবাই যোগেরও প্রমাণ মিলেছে। কেন তিনি দুবাই যেতেন মাঝেমধ্যেই তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল নগদ ২১ কোটি টাকা। অন্যদিকে বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এত বিপুল টাকা এল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও। ওই টাকার কোনও দাবিদার মেলেনি। তবে নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্য়মে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে বাকিবুরের যে সম্পত্তির হদিশ মিলছে তাতে অপার টাকা পাল্লা দিতে পারবে কি না সেটাই দেখার। এখন প্রশ্ন কে হারবে, আর কে জিতবে দুর্নীতির অঙ্কে। শেষ পর্যন্ত বাকিবুরের সম্পত্তির বহর কোথায় যায় সেটাও দেখার।