Firhad Hakim on Mahua Moitra: মহুয়ার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল? পাশে থাকার কথা জানালেন ফিরহাদ

মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে একেবারে দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, দল এনিয়ে কোনও মন্তব্য করবে না। তিনি নিজেই বিষয়টি বলবেন। তবে কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য অন্য সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন।

কিছুটা হলেও মহুয়া ইস্যুতে সুর নরম ফিরহাদের। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ জানিয়ে দেন, আমি এখনই বেশি কিছু বলব না। তবে আমি ওঁর পাশে আছি।

তবে অনেকের মতে, বেশি কথা না বলার কথা বললেও একটি একটি কথাতেই অনেক কথা বলে দিলেন ফিরহাদ। একেবারে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে দলগতভাবে তিনি পাশে থাকবেন নাকি ব্যক্তিগতভাবে পাশে থাকবেন সেটা ঠিক পরিষ্কার নয়।

তবে এর আগে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থেকে মহুয়া যে নিজেই বেরিয়ে আসবেন তা নিয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আদানির বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিমকে সংসদে যিনি অঘোষিতভাবে নেতৃত্ব দেন, গলা ফাটান তিনি অবশ্যই মহুয়া মৈত্র। কিন্তু তিনি বিপাকে পড়তেই তৃণমূল কার্যত দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন। এমনকী বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ারও চেষ্টা চলছে পুরোদমে। তবে ফিরহাদ অবশ্য় দলীয় অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। এটা কিছুটা হলেও ভরসা মহুয়া মৈত্রর কাছে।

বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ তুলেছিলেন, সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে ‘দামি উপহার ও নগদ’ নিয়েছিলেন মহুয়া। এরপরই ঝড় ওঠে জাতীয় রাজনীতিতে।

তবে মহুয়া ইস্যুতে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে তৃণমূল। ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্কে নাম জড়িয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের। এই অবস্থায় তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান জানিয়েছিলেন, মহুয়াকে নিয়ে সংসদের এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্ত সামনে আসলে তাঁর বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল।

কার্যত সাবধানে পা ফেলছে তৃণমূল। আপনার সমস্যা আপনি বুঝে নিন, অনেকটা এই অবস্থান নিচ্ছেন তৃণমূলের অনেকেই। তবে ফিরহাদ হাকিমের গলায় অবশ্য় অন্য সুর। তিনি যে মহুয়ার পাশে রয়েছে সেব্যাপারে কিছুটা হলেও ইঙ্গিত দিলেন তিনি।