আইডিয়ালের মুশতাকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ

কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। আদালত বাদীর (ছাত্রীর বাবা) জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দেন। এরপর গুলশান থানা মামলাটি এজহার হিসেবে গ্রহণ করে।

মামলার এজহারে বাদী ও কলেজছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন আসামি। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি ব্যবস্থা করছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনও সহযোগিতা পাননি বরং মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন তিনি। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করেন। পরে বাদী জানতে পারেন মুশতাক ভুক্তভোগীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।