ইতস্তত মনোভাব ছেড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, ইয়ং ফ্রন্টকে বার্তা বিমানের

দেরিতে হলেও নতুন প্রজন্মকে সামনে এনেছে সিপিএম। এখন রাজ্য–রাজনীতির আবহে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করলেন অশীতিপর সিপিএম নেতা বিমান বসু। তাঁর মতে, ষাটের দশকে যেভাবে তাঁরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তেমনই এখন দলের ‘ইয়ং ফ্রন্ট’কে বড় ভূমিকা নিতে হবে। এখন সময় এসেছে নতুন করে কিছু করার। আর সেই দায়িত্ব নিতে হবে ইয়ং ফ্রন্টকেই। অনেক বেশি দায়িত্ব এখন থেকে নিলে তবেই এই কাজ করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রবীণ বাম নেতা।

দলের সংগঠনে বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে নতুন প্রজন্মের কমরেডদের। এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি। পুরনো নেতারা পদ আঁকড়ে না থাকেন, সে কথা আগেও বলেছেন বিমান বসু। এবার দলীয় প্রকাশনার শারদ সংখ্যায় ‘নতুন প্রজন্মের কমিউনিস্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা’র কথা তুলে ধরেছেন বিমানববাবু। নিজের লেখনিতে নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়েদের সিপিএমের সংগঠনে টেনে আনার কথা তুলে ধরেছেন। আগামী নভেম্বর মাসের গোড়াতেই সিপিএমের রাজ্য কমিটির বর্ধিত বিশেষ অধিবেশন বসছে। সূত্রের খবর, আগামী ৩ থেকে ৫ নভেম্বর তা হবে। তার আগে এমন বার্তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

শারদ সংখ্যায় বিমানবাবু নিজের লেখনির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, এখন আন্দোলন করা এবং তার ধার বাড়ানোর উপযুক্ত সময়। তাঁর বক্তব্য, ‘এখন যা পরিস্থিতি তাতে আমাদের পক্ষ থেকে গ্রামীণ কৃষক ও ক্ষেতমজুর, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আন্দোলন এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে ছাত্র–যুবদের পরিকল্পিত লড়াই করতে হবে। ১৯৬৪ সালে পার্টির সপ্তম কংগ্রেস পরবর্তী সময়ে যেভাবে আন্দোলনে ইয়ং ফ্রন্ট ভূমিকা নিয়েছিল, এখন তাদের তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার প্রয়োজন আছে। তার জন্য কমবয়সি কমরেডদের একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন।’‌

আরও পড়ুন:‌ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু বিচারাধীন বন্দির, মুহূর্তের মধ্যে মর্গ থেকে দেহ লোপাট

তবে বিমানবাবু মনে করিয়ে দেন, ২০১৫ সালে সিপিএমের সাংগঠনিক প্লেনামে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সদস্য করার ক্ষেত্রে কমবয়সিদের গুরুত্ব দিতে হবে। মহিলাদের বেশি করে দলে যুক্ত করতে হবে। বিমান বসুর কথায়, ‘এখন আমাদের পার্টিতে প্রয়োজন অনেক বেশি কমবয়সি যুবক–যুবতী। দরকার যৌবনদীপ্ত অভিযান। আর এই অভিযান সফল ভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজন বয়স্ক কমিউনিস্টদের পরামর্শ।’‌ বিমানবাবুর যুক্তি, ষাটের দশকে যখন উত্তাল খাদ্য আন্দোলন হয়েছে, ছাত্র সংগ্রাম হয়েছে, তখন সেই আন্দোলন সমাজের সব অংশকে টানতে পেরেছিল। এখন ‘ইতস্তত মনোভাব’ ছেড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার ‘চ্যালেঞ্জ’ নিতে হবে নতুন প্রজন্মকে।