এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু বিচারাধীন বন্দির, মুহূর্তের মধ্যে মর্গ থেকে দেহ লোপাট

এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এক বিচারাধীন বন্দির। কয়েকদিন আগে এই ঘটনা ঘটেছে। তখন তার দেহ রাখা হয়েছিল হাসপাতালের মর্গে। মুহুর্তের মধ্যে উধাও হয়ে গেল সেই মৃতদেহ বলে অভিযোগ। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ–প্রশাসনেক কপালে ভাঁজ পড়েছে। টানা পাঁচদিন হয়ে গেল দেহের খোঁজ মেলেনি। পরে মিলতেই পারে। কিন্তু খোদ সরকারি হাসপাতাল থেকে দেহ লোপাটের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এই ঘটনার পর খোঁজখবর শুরু করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ।

এদিকে এমন ঘটনা এসএসকেএম হাসপাতালে আগে ঘটেছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক ১৫ বছর আগে হাওড়ার জগাছায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করে বাবলু পোল্লে। অভিযুক্তের বাড়ি আমতায়। তার বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করে জগাছা থানার পুলিশ। তখন থেকে হাওড়া জেলেই ছিল সে। চার্জশিট জমা পড়েছে আগেই। বিচার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তার মধ্যেই একাধিক রোগে আক্রান্ত হয় বাবলু পোল্লে। তখন হাওড়া জেল কর্তৃপক্ষ তাকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।

অন্যদিকে অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবলু। তখন তাকে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেদিনই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু মর্গে দেহ পাঠানো হলে সেখান থেকে লোপাট হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা এসএসকেএম হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় হেস্টিংস থানাকে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দেহ দেখে আসে। তারপর নিয়ম অনুযায়ী একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে। আর খবর দেওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে। কারণ, বিচারাধীন অবস্থায় সেখানেই বন্দি ছিল বাবলু। কিন্তু দেহ লোপাট হল কী করে?‌ এই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে।

আরও পড়ুন:‌ সময়সীমা শেষ হতে চলেছে,একশো দিনের বকেয়া আদায়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি তৃণমূলের

বাবলুর বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে পুলিশ। তারা দেহ শনাক্ত করার জন্য পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠায়। মৃতের পরিবারের সদস্যরা এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে আসেন। যদিও পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের মর্গে যে দেহ দেখানো হয় সেটা বাবলুর নয়। তাহলে দেহটি কোথায় গেল? অন্য কোনও পরিবারকে ভুল করে দেওয়া হয়েছে বাবলুর দেহ!‌ এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন ভুল যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে কেলেঙ্কারি কাণ্ড। এখন দেহটি খুঁজে বের করতে সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসএসকেএম হাসপাতালের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।