পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ যদি বিয়ে করেন তবে পরিবারের সদস্যরা তাতে আপত্তি জানাতে পারেন না। দিল্লি হাইকোর্ট এনিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। এমনকী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, ওই সদ্য বিবাহিত দম্পতিকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের পুলিশি সুরক্ষা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা জানিয়েছেন, বিয়ে করার অধিকার সংবিধানের দ্বারা স্বীকৃত। এটাকে কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যায় না। রাজ্যের উচিত তাদের নাগরিকদের বিয়ে করার অধিকারকে রক্ষা করা।
বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি তাঁর পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতেই পারেন। এটা সংবিধানের দ্বারা সুরক্ষিত। এটাকে কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যায় না। সরকার নাগরিকদের অধিকারকে সুরক্ষিত করতে বাধ্য়। কেউ এই সম্পর্কে আপত্তি জানাতে পারে না, এমনকী পরিবারও এনিয়ে আপত্তি জানাতে পারে না।
বিচারপতিদের বেঞ্চ তদন্তকারী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে তাদের সঙ্গে কোন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে সেটা যেন ওই আবেদনকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। আদালত বিট অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে রোজ সকাল ৯টার আগে ও সন্ধ্যা ৬টার পরে আগামী দুমাস ধরে থানা থেকে ওই দম্পতিকে যেন ফোন করা হয়। যাতে ওই দম্পতি নিরাপদে আছেন কি না সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে সদ্য বিবাহিত দম্পতি আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিল তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। কারণ তারা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করেছেন। তার জেরে তাদের পরিবারও তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে ওই দম্পতি অভিযোগ করেছিলেন।
এদিকে দম্পতি আইনজীবীর মাধ্য়মে কোর্টে জানিয়েছিলেন ওই মহিলাকে দিয়ে জোর করে এফআইআর করানো হয়েছিল যুবকের বিরুদ্ধে। তারা গত ৫ এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন। এরপর থেকে তারা সুখে বসবাস করছিলেন। কিন্তু পরিবার থেকে তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
তবে দিল্লি সরকারের তরফে থাকা সরকারি আইনজীবী আনন্দ ভি খাটরি নিশ্চিত করেছেন যে সরকার তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে।