Idol immersion clash: বিসর্জনকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বিহারের চাপড়ায়, আহত ৬

সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজনা ছড়াল বিহারের চাপড়া টাউনের নতুন বাজার এলাকায়। প্রতিমার শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠী সংঘর্যে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত ছ’জন আহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ একটি দুর্গাপ্রতিমা সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই সংঘর্ষ হয়। প্রতিমাকে লক্ষ্য করে পাথরছোঁড়ার অভিযোগ উঠে। ভোর পাঁচটা নাগাদ দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসপি ডাঃ গৌরব মংলা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তা-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় এলাকায় একটি ধর্মীয় স্থানের কাছে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতী শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিমা। শোভাযাত্রা থেকে পাল্টা কয়েকজন যুবক আশপাশের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে।

(পড়তে পারেন। মোদী তো বলতেন মুসলিম দেশ…’, কাতারে ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ড ইস্যুতে তোপ ওয়া)

পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্গার বিসর্জন শোভাযাত্রাটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। শোভাযাত্রাটিতে ডিজে বাজছিল। ডিজেতে উচ্চস্বরে গান বাজছিল। মসজিদের সামনে দিয়ে যাবার সময় গান বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু তা সত্বেও গান বন্ধ করা হয়নি। এরপরই শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি কোনও অনুমতি ছিল না।’

পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, শোভাযাত্রার উপর হামলা স্বতঃস্ফূর্ত নাও হতে পারে। হামলার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল।

এসপির দাবি, এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে এলাকায় কোনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নেই। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপের পর শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।