বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ১০ দিনের ইডি হেফাজত হয়েছে। ৬ নভেম্বর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। বিভিন্ন মামলায় ইডি-র আগের সব গ্রেফতারির ঘটনাবলী দেখে বলাই যেতে পারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাঁর মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ। এরই মধ্যে আবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর। তাই প্রশ্ন, বনমন্ত্রীকে ছাড়াই কি মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে? না কি পিছিয়ে দেওয়া হবে বৈঠক? একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে বিধানসভার তৃণমূলের পরিষদীয় অ্যাকাউন্টের পরিচালনা নিয়েও।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন গ্রেফতার হন সেই সময় তাঁর হাতে ছিল শিল্প এবং পরিষদীয় দফতর। সেই সময় তা তুলে দেওয়া হয় যথাক্রমে শশী পাঁজা এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে সে রকম কোনও পদক্ষেপ করা হবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। ফলে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সে দিকে নজর থাকবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর যে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় সেখানে মুখ্যমন্ত্রী সব দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আয়কর রিটার্নের নথি মুখ্যসচিবের দফতরে জমা দিতে। সেই সময় তিনি প্রতিটি কাগজ ভাল করে পড়ে তার পর সই করার কথা বলেছিলেন। বনমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক সে দিক থেকে দেখলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
(পড়তে পারেন। আজ হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়কে দেখতে যেতে পারে ইডি, কিন্তু কেন?)
অন্য দিকে আবার বৈঠকের দিন বদল নিয়েও জল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজ্য সরকারি সূত্রে খবর, ৯ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা। যদিও শীর্ষমহল থেকে এই বৈঠক নিয়ে কোনও সবুজ সংকেত আসেনি। ফলে বৈঠকের দিন বদলের সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। যদি দিন বদল হয়, তবে নবান্নের বদলে বিধানসভা ভবনেও মন্ত্রিসভার বৈঠক হতে পারে। কারণ, নভেম্বরে দু’দিনের বিধানসভার অধিবেশন হবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যদি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় সেক্ষেত্রে বিধানসভা ভবনে বৈঠক হতে পারে।
তৃণমূলের পরিষদীয় অ্যাকাউন্টের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন
বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেন বিধায়করা। ওই টাকা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে খরচ করা হয়। সেই অ্যাকাউন্টির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর সেই অ্যাকাউন্ট কীভাবে পরিচালিত হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অ্যাকাউন্টের বিষয়ে শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রশ্ন বনমন্ত্রীর বিধানসভার ঘর নিয়েও। ঘরটি কি তালাবন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে? যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরটি ষোল মাসে ধরে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।